যশোরের অভয়নগর উপজেলায় যুবলীগ নেতা মুরাদ হোসেন (৩০) হত্যার ৪৮ ঘণ্টা পর মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে নিহত মুরাদ হোসেনের বোন নীলিমা খাতুন বাদী হয়ে অভয়নগর থানায় মামলাটি করেন। মামলায় ১০ জনের নাম উল্লেখসহ ৪-৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
গত রোববার রাত সাড়ে নয়টার দিকে অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের বাড়ির কাছে দুর্বৃত্তরা মুরাদ হোসেনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। তাঁকে উদ্ধার করে খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়ার পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মুরাদ হোসেন উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের সাহাবুল ইসলামের ছেলে। তিনি নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত মুরাদ হোসেনের বিরুদ্ধে অভয়নগর থানায় ধর্ষণ, মাদক, অপহরণ, নাশকতা ও মারামারির নয়টি মামলা ছিল।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আকিকুল ইসলাম বলেন, মুরাদ হোসেনের বোন নীলিমা খাতুন বাদী হয়ে গতকাল রাত ১০টার দিকে মামলাটি করেন। পূর্বশত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষ পরিকল্পিতভাবে মুরাদ হোসেনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেফতার করা যায়নি। তবে আসামিদের গ্রেফতার করতে জোর অভিযান চলছে বলে জানান ওসি।
রাতদিন সংবাদ
