যৌতুকের টাকা না পেয়ে শ্বশুড়বাড়ির লোকজনের মেয়েকে হত্যা করে লাশ গুম করেছে দাবি করে যশোরের আদালতে মামলা করেছেন অভয়নগর উপজেলার বারান্দী গ্রামের হারুন দফাদার। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
আসামিরা হলেন, ভিকটিম শারমিন বেগমের স্বামী খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার কাটিঙ্গা গ্রামের ইমরান গাজী, দেবর ইনামুল গাজী, শ্বশুড় মুশারেফ গাজী, শ্বাশুড়ি রিনা বেগম ও ছালাম গাজী।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, সাত বছর আগে শারমিনের সাথে ইমরানের বিয়ে হয়। এ সময় শ্বশুড় বাড়ির লোকজনের দাবির পেক্ষিতে সোনা, নগদ টাকা, আসবাবপত্রসহ মোট এক লাখ ২০ হাজার টাকার মালামাল দেয়া হয়। বর্তমানে তাদের দু’টি সন্তান রয়েছে। এরমধ্যে অন্য আসামিদের কুপ্ররোচনায় আরও দু’লাখ টাকা যৌতুকে দাবিতে শারমিনকে শারীরিক নির্যাতন করা শুরু করে স্বামী ইমরান গাজী। যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় গত ১০ সেপ্টেম্বর শারমিনকে শ্বশুড় বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়।
১৫ সেপ্টেম্বর ঘরোয়া শালিসের মাধ্যমে সেটি মিমাংসা হয়ে যায় এবং ভিকটিম ও সন্তানদের নিয়ে যান ইমরান গাজী। কিন্তু গত ৭ অক্টোবর ইমরান ফোনে হারুন দফাদারকে বলেন, শারমিন সন্তান রেখে বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন। পরে হারুন দফাদার জানতে পারেন আগেরদিন রাতে শারমিনকে বেধড়ক মারপিট করা হয়েছে।
১৫ অক্টোবর সকালে শারমিনের শ্বশুড় বাড়িতে গেলে ইমরানকে প্রশ্ন করলে সে উল্টো হারুনকে হত্যার হুমকি দেন। এ বিষয়ে ডুমুরিয়া থানায় মামলা করতে গেলে নানা তালবাহানা করে পরে অভিযোগ নেয়। থানা কর্তৃপক্ষ কোনো তদন্ত না করে অসদাচরণ করেন। থানায় কোনো সহযোগিতা না পেয়ে মেয়ের সন্ধান নিতে আদালতের শরাপন্ন হন হারুন দফাদার। বাদীর দাবি, আসামিরা শারমিনকে হত্যা করে লাশ গুম করেছে।
রা্তদিন সংবাদ/আর কে-১৬