Monday, May 6, 2024

যে কারনে খুন হয় মিতু

- Advertisement -

যশোরে সাবেক স্বামীর হাতে খুন হয়েছেন খাদিজা খাতুন ওরফে মিতু কর্মকার নামে এক যুবতি। দুই বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। পরের বছরই বিচ্ছেন। বিচ্ছেদের একবছরের মাথায় যশোরে ডেকে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে সাবেক স্বামী। মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের মঠবাড়িয়া গ্রামের বুকভরা বাওড়ের পাশে এই হত্যার ঘটনা ঘটে। বুধবার সকালে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। একই সাথে লাশ উদ্ধারের এক ঘন্টার মাথায় ঘাতক সাবেক স্বামী মৃন্ময় ভদ্র নিলয়কে আটক করা হয়। আটক মৃন্ময় ভদ্র নিলয় সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার দামোদারকাঠি গ্রামের মদন ভদ্রের ছেলে। বর্তমানে তিনি যশোর সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের চান্দুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

অপরদিকে নিহত নৃত্যশিল্পী খাদিজা খাতুন ওরফে মিতু কর্মকার সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটার ধানদিয়া চৌরাস্তা এলাকার আজগর আলী সরদারের মেয়ে।

স্থানীয়রা জানায়, বুধবার ভোরে শাড়ি পড়া এক নারীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। এসময় তারকাছে একটি মোবাইল ফোনও দেখা যায়। পরবর্তিতে পুলিশ,পিবিআই, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে যেয়ে লাশের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করেন।

ডিবি পুলিশের ওসি রুপন কুমার সরকার জানান, বুধবার সকাল ৮টার দিকে খবর পেয়ে এসআই খান মাইদুল ইসলাম রাজীব ঘটনাস্থল যায়। পরে লাশের পাশে ভেঙ্গে ফেলা মোবাইল ফোন সেটের যন্ত্রাংশ পড়ে ছিলো। পরে ওই মোবাইল ফোন সেটের সূত্র ধরে প্রথমে পরিচয় শনাক্ত করা হয়। মোবাইলের সূত্র ধরে সকাল ১০টার দিকে চান্দুটিয়া গ্রামের একটি বাড়ি থেকে নিলয় নামে ওই যুবককে আটক করা হয়। আটকের পর নিলয় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিতু কর্মকারকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।

নিলয় ডিবি পুলিশকে আরও জানায়, তিন বছর আগে পাটকেলঘাটায় ড্যান্সের একটি অনুষ্ঠান থেকে মিতুর সাথে তার পরিচয় ঘটে। এরপর একবছরের মাথায় মিতু ধর্মান্তরিত হয়ে তাকে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের এক বছর পর মিতু থানায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। এ ঘটনার পর তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। কিন্তু তারপরও নিলয়ের পিছু ছাড়েনি মিতু। বিভিন্ন অন্তরঙ্গ ছবি প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে তার কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতেন মিতু। এসব কারণে অতিষ্ঠ হয়ে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মিতুকে মোবাইল ফোন করে যশোরে ডেকে আনেন নিলয়। এরপর ওইদিন রাত ১১টার দিকে মঠবাড়িয়া গ্রামের বুকভরা বাওড় সংলগ্ন বিকাশের ধানক্ষেতে নিয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন নিলয়। হত্যার পর মিতুর মোবাইল ফোনসেট ভেঙ্গে ফেলেন।

এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই খান মাইদুল ইসলাম রাজীব বলেন, মিতু মুলত নৃত্যু শিল্পি। পরিবারের লোকজন বিষয়টি পছন্দ করতেন না। এক পর্যায় স্বইচ্ছায় তিনি ধর্মান্তরিত হন। এছাড়া তিনি মাদকে আসক্ত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে মাদকের মামলাও রয়েছে। তিনি আরও জানান বুধবার বিকেলে পরিবারের হাতে লাশ হস্তান্তর করা হয়।

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত