চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মধ্যবর্তী কুতুবদিয়া দিয়ে মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করেছে ঘূর্ণিঝড় হামুন। এর আগে উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে কোথাও কোথাও বৃষ্টিপাত ও দমকা হাওয়া বয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড় হামুন পরে ধীরে ধীরে উত্তর-পূর্ব দিকে চলে গেছে। এখন ঘূর্ণিঝড় হামুনের কোনো অস্তিত্ব নেই।
ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে কক্সবাজারে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাতে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিভীষণ কান্তি দাশ এ তথ্য জানিয়েছেন।
মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে একজন পৌরসভা এলাকায়, একজন মহেশখালী ও একজন চকরিয়ার। ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে ঝোড়ো হাওয়ায় দেয়াল ও গাছ চাপা পড়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান খান বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে কুতুবদিয়ায়। সর্বোচ্চ বাতাসের গতি রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজারে, ঘণ্টায় ১০৪ কিলোমিটার।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এসব সংকেত আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নামিয়ে ফেলা হবে।







