Friday, December 5, 2025

ভারী বর্ষনে লোহাগড়া পৌরসভা সহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে

লোহাগড়ায় ভারী বর্ষনে পৌরসভা সহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বাড়িঘর,টিউবওয়েল দোকানঘর ,রাস্তা-ঘাট ও বাথরুম তলিয়ে যেয়ে অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে দিয়েছে।

লোহাগড়া প্রতিনিধিঃ নড়াইলের লোহাগড়ায় গত বৃৃহস্পতবার ভারী বর্ষনের ফলে পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বাড়িঘর টিউবওয়েল দোকানঘর ও বাথরুম তলিয়ে যেয়ে অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে দিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে । বিশেষ করে লোহাগড়া পৌরসভা এলাকার বিভিন্ন বাড়ি ঘর,টিউবওয়েল,বাথরুম,দোকান ঘর পানিতে তলিয়ে যেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ্য মানুষ গুলো বিপাকে পড়েছে। শনিবার সকালে সরোজমিনে যেয়ে দেখা যায়, পৌরসভার লক্ষীপাশা গ্রামের(৭ নং ওয়ার্ডের) থানার পশ্চিমপাশের বেশ কয়েকটি রাস্তা, প্রায় বাড়িঘর,দোকানঘর পানির নিচে আছে। লক্ষীপাশা গ্রামের ভাড়াটিয়া রাবেয়া বেগম বলেন, আমি যে বাড়ি ভাড়া থাকি সে বাড়ি সম্পুর্ন পানির নিচে আমার চুলা তলিয়ে যাওয়ায় রান্না খাওয়ার কোন ব্যাবস্থা নেই। পাশেই জগদিশ বিশ্বাসের বাড়িও পানিতে তলিয়ে আছে। প্রতিবেশী আমাকে খাবার দিয়ে যাচ্ছে। এদিকে উপজেলা গেটের সামনে উত্তর পার্শ্বে দোকান ঘরের মালিক আঃ রহিম(আরকে প্রেস) বলেন, দোকান পানিতে তলিয়ে আছে দোকান খুলতে পারছিনা। এছাড়াও থানার পশ্চিম পাশ দিয়ে রাস্তা-ঘাটসহ অনেক বাড়ি ঘর এখনও তলিয়ে আছে। ক্ষতিগ্রস্থ্যরা জানান, বাসার টিউবওয়েল ও মটোর তলিয়ে যাওয়ার কারনে বাইরে থেকে পানি এনে খেতে হচ্ছে ও বাথরুম তলিয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন যায়গায় যেতে হচ্ছে । বাচ্চাদের দেখা গেছে অন্যত্র থেকে কলসে পানি আনছে।ক্ষতিগ্রস্থ্যদের ধারনা,পাশ্বে নবগঙ্গা নদীতে ড্রেন লাইনের ব্যাবস্থা করলে পানি দ্রুত নিষ্কাশন হওয়া সম্ভব। এদিকে নড়াইল-কালনা সড়কের দক্ষিনে যে খাল আছে সে খালে পানি পুর্ব থেকেইে পরিপুর্ন হয়ে আছে। তবে জানা গেছে, ইতিমধ্যে এলাকার কাউন্সিলর ও পৌর মেয়র ক্ষতিগ্রস্থ্য পৌর এলাকার বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্থ্যদের ঘুরে দেখেন ও পানি নিষ্কাশনের জরুরী ব্যাবস্থা নিয়া হচ্ছে বলে জনান। লোহাগড়া পৌরমেয়র সৈয়দ মসিয়ুর রহমানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি পৌরসভার সমস্ত ক্ষতিগ্রস্থ্য এলাকা ঘুরেছি। ।আমার যতটুকু ক্ষমতা আছে পানি নিষ্কাশনের ব্যাবস্থা গ্রহন করিতেছি।

রাতদিন ডেস্ক/জয়-০৮

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর