যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে ভুমিহীনদের আশ্রয় দিয়ে নিজের জমি হারাতে বসেছেন আব্দুস সাত্তার। আশ্রয় পেয়ে এখন সাত্তারের জমিদখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তারা। আব্দুস সাত্তারকে এখন খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে । বিষয়টি নিয়ে কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন তিনি। কিন্তু প্রতিকার আজো মেলেনি। এমতাবস্তায় তিনি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
অভিযোগপত্রে আব্দুস সাত্তার উল্লেখ করেন, নিজ নামে নামপত্তন ও রেকর্ডকৃত চাপাকোনা ১২৫ নাম্বার মৌজার ১৩ নাম্বার খতিয়ান ও তিন নাম্বার দাগে ছয় শতক জমি ভোগদখল করে আসছেন তিনি। এরমাঝে অস্বচ্ছল ভূমিহীন চাপাকোনার মৃত মতিয়ার দু’ ছেলে ইউনুছ আলী ও ইউসুফ আল, চাউলিয়া গ্রামের মুনসুর খন্দকারের ছেলে শাহিন আলম এবং হাশেম আলী বিশ্বাসের ছেলে মুর্তুজা বিশ্বাসকে জমির এককোনে বসবাসের সুযোগ দেন তিনি। মাথা গোজার ঠাই পেয়ে তারা টিনের ঘরতুলে জিবন যাপন করতে থাকে। নিজের বাড়ি দুরে হওয়ায় দেখাশোনার দায়িত্বটাও ওই চারজনের উপর ছেড়ে দেন সাত্তার। এরপর ওইচারজন সাত্তারের জমির পাশেই একটি জমি কেনেন । জমি কেনারপর সাত্তার তাদেরকে ঘর তাদের জমিতে নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু ঘর না সরিয়ে সাত্তারের জমি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে তারা। গত ১২ আগস্ট ও ১৭ আগস্ট সকালে জমি ছেড়ে দিতে বললে অভিযুক্তরা সাত্তারকে মারপিট করতে উদ্যত হয়। শুধু তাই নয়, প্রকাশ্যে খুন ও মামলা দিয়ে ফাঁসানোরও হুমকি দেয় সাত্তারকে। বাধ্য হয়ে কোতায়ালি থানায় অভিযোগ দেন তিনি। এতে করে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে তারা।
সাত্তার আরো বলেন, অভিযোগ দেয়ার পর নরেন্দ্রপুর ফাড়ি ইনচার্জের উপর দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু আজো পর্যন্ত অজ্ঞাত কারণে প্রশাসনের কোনো সহযোগিতা তিনি পাননি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বিশেষ প্রতিনিধি







