যশোরে হেরোইনের পৃথক দুই মামলায় এক আসামির আমৃত্যু
কারাদন্ড ও অপর আসামির যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ
দিয়েছে পৃথক আদালত। সোমবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তাজুল
ইসলাম ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শিমুল কুমার বিশ্বাস পৃথক
রায়ে এ সাজা প্রদান করেন। আমৃত্যু কারাদন্ড প্রাপ্ত আসামি
শার্শা উপজেলার শার্শা গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে শাহাজান
আলী ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি বেনাপোল ভবেরবেড়
গ্রামের ইউসুফ মোল্লার স্ত্রী আলীজান। তারা দুজনেই পলাতক
রয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর বিকেলে যশোর জেলা
ডিবি পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনার সময় জানতে
পারেন শার্শা উপজেলার শ্যামলগাছী গ্রামে ফিলিং স্টেশনের
সামনে এক ব্যক্তি হেরোইন নিয়ে অবস্থান করছেন। তাৎক্ষনিক
ডিবি ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে শাহাজান আলীকে আটক
করে। এ সময় তার হাতে থাকা একটি শপিং ব্যাগ থেকে পাঁচটি
টোপলায় রাখা এককেজি হেরোইন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শার্শা
থানায় মামলা করেন ডিবির এসআই খাইরুল আলম। মামলাটি তদন্ত
করে ২০১৮ সালের ২২ জানুয়ারি ডিবির এসআই মুরাদ হোসেন
শাহাজান আলীকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমাদেন।
সোমবার রায় ঘোষনা দিনে বিচারক শাহাজানের আমৃতু কারাদন্ড ও
২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদন্ডের আদেশ
দেন।
আদালত সূত্র আরও জানায়, ২০১১ সালের ২৯ অক্টোবর সকালে চাঁচড়া
পুলিশ ফাঁড়ি খবর পায় শংকরপুর বাস টার্মিনাল এলাকায় এক নারী
মাদক ব্যবসায়ী হেরোইন নিয়ে অবস্থান করছেন। তাৎক্ষনিক একটি
টিম ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে আলীজানকে আটক করে। পরে তার
কাছথেকে ৪৫ গ্রাম হোরোইন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায়
কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন এসআই সাইফুল ইসলাম। তদন্ত
কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত করে আলীজানের বিরুদ্ধে আদালতে
চার্জশিট জমাদেন। সোমবার রায় ঘোষনা দিনে অতিরিক্ত জেলা ও
দায়রা জজ শিমুল কুমার বিশ্বাস আসামি আলীজানের যাবজ্জীবন
সশ্রম কারাদন্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই
মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেন।
এছাড়া সোমবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শিমুল কুমার
বিশ্বাসের আদালতে মাদকের আরও ১০ মামলায় ১০ আসামির পৃথক
ধারায় সাজা প্রদান করেন।
রাতদিন ডেস্ক/জয়-০৮







