যশোরের অভয়নগরে আত্মহত্যার প্ররোচনার দায়ে স্বামীর পাঁচ বছরের
সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও
তিনমাসের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার
যশোরের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা
জাহাঙ্গির এক রায়ে এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত
করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী খোন্দকার মোয়াজ্জেম
হোসেন মুকুল। সাজাপ্রাপ্ত আসামি পিন্টু শেখ
অভয়নগর উপজেলার দক্ষিন দেয়াপাড়ার তবিবুর শেখের ছেলে।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর পিন্টু
শেখের সাথে ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার
নেয়ামতপুর গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের মেয়ে
মর্জিনার বিয়ে হয়। মর্জিনার একটি মেয়ে সন্তান জন্ম
গ্রহন করে। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য
মর্জিনাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতে
থাকে পিন্টু। ২০১৯ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ঘরের আড়া থেকে
মর্জিনার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। যা আত্মহত্যা বলেই
প্রচার করা হয়। পরবর্তিতে মর্জিনার মা ছবেদা খাতুন
তার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে
প্রচার করা হচ্ছে দাবি করে ২০২০ সালের ৫ ফেব্রæয়ারি
আদালতে মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায়
পিবিআই। পিবিআই আত্মহত্যার পরোচনার বিষয়ে তদন্ত
প্রতিবেদন জমা দেন। সোমবার এ মামলার রায়ে আদালত এ
রায় ঘোষনা করেন।
রাতদিন ডেস্ক/জয়-০৬







