জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের
দায়ের করা মামলায় খোলাডাঙ্গার লুৎফর রহমানকে কারাগারে
পাঠিয়েছে আদালত। বুধবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে
আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন জানালে বিচারক শেখ
নাজমুল আলম তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে
পাঠানোর আদেশ দেন। লুৎফর রহমান খোলাডাঙ্গা এলাকার মৃত
হাজী ওয়াজেদ আলী সরদারের ছেলে। লুৎফর শহরের সোনালী
এজেন্সির মালিক আকবার আলীর অধীনে যশোর
ক্যান্টনমেন্টে সাপ্লাইয়ের কাজ করতেন। পরবর্তিতে
তিনি একই মালিকের বেনাপোলের সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠানের
ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন। এছাড়া সুজলপুরে একই
মালিকের রড ফ্যাক্টারির ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন।
আদালত সূত্র জানায়, অল্প কয়েকদিনের ব্যবধানে তিনি অঢেল
সম্পতির মালিক হন। এ বিষয় দুদকের নজরে আসে। সম্পদের
বিবরনী তলব করে দুদক। অসঙ্গতিপূর্ন বিবরন প্রদান করে
লুৎফর। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পায় দুদক। পরে
২০২২ সালের ২৮ মার্চ দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত
জেলা কার্যালয় যশোরের সহকারী পরিচালক মোশারফ
হোসেন লুৎফরের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় তিনি
উল্লেখ করেন, লুৎফর দুদকের কাছে ৯৫ লাখ টাকার সম্পদ
গোপন করে মিথ্যা তথ্য প্রদান ও অবৈধ পন্থায় এক কোটি
২৯ লাখ ৪৮ হাজার ৯শ’৪৪ টাকার জ্ঞাত আয়ের সাথে
অসংগতির্র্পূর্ণ সম্পদ লুৎফর দখলে রেখেছে বলে উল্লেখ
করেন। ২০২৩ সালের ১৯ মার্চ মামলাটি তদন্ত করে দুর্নীতি
দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের সহকারী
পরিচালক মোশারফ হোসেন আদালতে চার্জশিট জমা দেন।
এ মামলায় আদালত গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে। বুধবার
লুৎফর রহমান আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন
জানালে বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে
পাঠানোর আদেশ দেন।
রাতদিন ডেস্ক/ জয়- ০৯
