Saturday, December 6, 2025

জামাইকে হত্যার অভিযোগে শ্বশুর শাশুড়িসহ সাতজনের নামে মামলা

জামাইকে হত্যার অভিযোগে শ্বশুর শাশুড়িসহ সাতজনের নামে মামলাযশোর সদর উপজেলার শানতলা গ্রামের দাউদ হোসেনের ছেলে সুমন হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে আদালতে মামলা করেছেন মা রেবেকা সুলতানা। আসামি করা হয়েছে সুমনের শ্বশুর, শাশুড়িসহ সাতজনকে। আসামিরা হলেন,শহরের খড়কি কলাবাগান এলাকার আলী রেজার ছেলে শ্বশুর রেজাউল করিম, তার স্ত্রী শিরিনা বেগম, ছেলে ঝন্টু ও মন্টু ঝন্টুর স্ত্রী ডলি বেগম, মন্টুর স্ত্রী শিউলি বেগম ও নিহত সুমনের প্রবাসী স্ত্রী শায়লা শারমিন আশা। বৃহস্পতিবার মামলা হওয়ার পর আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে এ বিষয়ে অন্য কোনো মামলা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্যে কোতোয়ালি থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, সুমন যশোর শিক্ষাবোর্ডে অস্থায়ী ভিত্তিতে চাকরি করতেন। ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে তার সাথে আশার বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েকদিনের মাথায় পার্লারের কাজের জন্যে স্ত্রী আশা দুবাই যাওয়ার আগ্রহ দেখান। সুমন আর্থিক স্বচ্ছলতার বিষয়টি চিন্তা করে রাজি হন। এক পর্যায়ে সাড়ে চার লাখ টাকা খরচ করে স্ত্রীকে দুবাই পাঠান সুমন। আশা এখনো দুবাইতেই রয়েছেন। দুবাই যাওয়ার পর আসামিরা বিভিন্ন সময় অজুহাত দেখিয়ে তিন চার লাখ টাকা হাতিয়ে নেন সুমনের কাছ থেকে। গত মাসে সুমন জানতে পারেন আশা দুবাইয়ে বাংলাদেশি এক ছেলেকে বিয়ে করেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাওয়ায় আসামিদের সাথে সুমনের মনোমালিন্য হয়। এরপর থেকে আসামিরা সুমনকে হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকেন। তারই অংশ হিসেবে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে আসামিরা সুমনকে তাদের বাড়িতে যেতে বলেন। ওইদিন রাতে সুমনকে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে চালানোর চেষ্টা করেন। মৃত সুমনের শরীরে আঘাতের চিহ্ন, কাটা দাগ, হাত পা ভাঙা এবং অন্ডকোষ গলিত অবস্থায় পাওয়া যায় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। আশা ও তার নতুন স্বামীর প্ররোচনায় অন্য আসামিরা পরিকল্পিতভাবে সুমনকে হত্যা করেছে বলে দাবি মা রেবেকা সুলতানার।

রাতদিন নিউজঃ

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর