Saturday, December 6, 2025

কুয়াদায় দেড় ডজন মাদক কারবারী অপ্রতিরোধ্য

যশোরের কুয়াদা এলাকায় মরন নেশা ইয়াবা, গাঁজা ও ফেনসিডিলে সয়লাব করছে চিহ্নিত ১৮ মাদক কারবারী। ওই চক্রের অপতৎপরতায় এ নেশায় হাবুডুবু খাচ্ছে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। স্কুল কলেজের ছাত্ররাও পিছিয়ে নেই সেবন থেকে। এলাকার এক প্রভাবশালী এই মাদক কারবারী সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছে। সূত্র জানিয়েছে, সিরাজসিংহার গাজী পাড়ার আলম ওরফে ফেন্সি আলমের নেতৃত্বে মাসের পর মাস মাদকে সয়লাব হচ্ছে ওই এলাকার ৩টি বাজার ও ১০টি গ্রাম। শার্শা সীমান্ত এলাকার বাবু মুন্সী লাল রঙের গাড়িতে এসে মাদক সরবরাহ করে যাচ্ছে ফেন্সি আলমের ডেরায়। ফেন্সি আলম ছাড়াও ওই এলাকায় ইয়াবা ফেনসিডিলসহ নানা ভার্সনের মাদক বিক্রি করছে ডহরসিংহা গ্রামের ডাবলু, ভাড়ার মোটরসাইকেল চালানো আহাদ আলী, কুয়াদার তুর্য সরদার, আল আমিন, সিরাজ সিংহার দোলন ওরফে আনসার দোলন, সেলিম ওরফে ইজিবাইক সেলিম, সিরাজ সিংহার সুজন, জুয়েল, শাহিন, স্বপন, তাহমিনা, মিত্রসিংহার মোসারেফ, পথালিয়ার মহর আলী, কুয়াদার মোহন, সিরাজসিংহা হাতিয়ারহাটের রায়হান গাজী, রাশেদ আলী ছোট, আমির বেড়ে ও মিত্রসিংহার সবুজ অবাধে মাদক কারবার চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকার একরামের বাড়িতে মাদক গোপনে মজুদ করা হয়। দেড় ডজনের ওই চক্রটির মাদক কেনাবেচা চলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত। পুলিশি অভিযান ওই এলাকায় কম থাকায় কোনো ভয় নেই ওই মাদক ব্যবসায়ীদের। চক্রটি ফোন করে ক্রেতাদের নির্দিষ্ট স্পটে আসতে বলে। আবার চিহ্নিত নেশাখোরদের ফোন করে মাদক সাপ্লাই দিয়ে আসে হোম ডেলিভারি হিসেবেও। কোনো ক্রেতাকে বলা হয়, গাছের নিচে ঘাসের মধ্যে টাকা রাখো। টাকা রাখার পর তারা ফোনে বলে দেয় অপর একটি গাছের নিচে ইয়াবা আছে। এভাবেই নয়া স্টাইলেও চলছে মাদক কেনাবেচা। মাদকের বিরূপ প্রভাব পড়ছে কুয়াদা এলাকার শিক্ষা ব্যবস্থায়ও। এসব মাদকদ্রব্য তরুণ ছাত্রদেরকেও গ্রাস করছে। অনেকেই লেখাপড়া থেকে বিচ্যুত হচ্ছে। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্ররা বেশি মাদক সেবন করছে এমন তথ্য উঠে এসেছে। মাদকের সাথে জড়িয়ে অনেকেই তাদের সর্বস্ব হারিয়ে ফেলেছে। উপরে উল্লেখিত ১৮ জনের চক্রটি অবাধে মাদকের কারবার করে আসলেও পুলিশ নিশ্চুপ বলে দাবি এলাকাবাসীর। তথ্য মিলেছে, কুয়াদা, সুতীঘাটা, সিরাজসিংহা, মিত্রসিংহ, হাতিয়ারহাট, ডহরসিংহা, কামালপুরসহ ১০টি গ্রাম জুড়ে ওই চক্রটি বেপরোয়াভাবে এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত মাদকের বিরুদ্ধে রুখে না দাঁড়ালে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে এগুবে। এলাকাবাসী এ ব্যপারে দ্রুত জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

বিশেষ প্রতিনিধি

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর