Friday, December 5, 2025

কালীগঞ্জের ওয়াবদা খাল দখলমুক্ত করার দাবি এলাকাবাসীর

মোঃ হাবিব ওসমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ প্রভাবশালী ও অবৈধ্য দখলদারদের দখল উৎসব, আর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসিনতা এবং অবহেলার কারনে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের পৌর শহরের আড়পাড়ার ওয়াবদা খালটি।

এক সময় এই খাল দিয়েই চিত্রা নদিতে পড়তো দেশের দক্ষিন পশ্চিম অঞ্চলের সবচেয়ে ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান মোবারকগঞ্জ চিনিকলের বর্জ্রের পানি। খালটি চিত্র নদীর সাথে সংযোগ থাকার কারনে আড়পাড়ার মাঠে পানিও এই খাল দিয়ে চিত্রা নদীতে পড়তো। খালটি দখল করে হরহামেশায় দখলদাররা তৈরী করছে বড় বড় ইমারতসহ মার্কেট। সেই দেশ স্বাধীনের পর থেকে ধারাবাহিক ভাবে দখলদারদের অবৈধভাবে দখল করার কারনে খাল এখন দেখে চেনার উপায় নেই। এসব ভূমিদস্যুদের হাত থেকে এই পুরাতন খালটি দখলমুক্ত করার দাবি এলাকাবাসীর।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের প্রান কেন্দ্র দিয়ে বয়ে যাওয়া ২কিঃ মিঃ ওয়াবদা খালটির উৎপত্তি স্থল শহরের আড়পাড়ার গ্রামের মাঠের। এই মাঠ থেকে মহিলা কলেজের উত্তরপাশ দিয়ে বয়ে গিয়ে হাসপাতালের নিকটবতী চিত্রা নদীতে মিশেছে। ওয়াপদা খালটি এখন মৃত্যু প্রায়।

অবৈধভাবে দখল করে খালের দু’পাশে বাড়ি এবং অবশিষ্ট অংশ ময়লা আবর্জনা দিয়ে ভরাট করে ফেলেছে খালটি। বর্জ্য ফেলায় দূর্গন্ধ সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিনিয়ত, ফলে দুপাড়ের বাসিন্দাদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই এলাকাটি বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। পানি নিষ্কাকনের সঠিক ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষকাল আসলেই পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে শহরের একাংশ।

দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ার কারনে আগাছা ও ঘন বন-জঙ্গলে পরিপূর্ন হয়ে গেছে। বোঝার উপায় নেই যে এটা একটা খালি। দু’পাড় দখল বড় বড় ইমারত আর দোকান পসরা বসিয়েছে অবৈধ দখলদাররা। অন্যদিকে ময়লা, আবর্জনা আর বর্জ্য ফেলে পরিবেশন দুষন হচ্ছে। মসা মাছি সহ নানা রোগ ব্যাধীতে আক্রান্ত হচ্ছে এলাকার বসতিরা। বর্ষাকাল এলেই চিত্র পাল্টে যায়, খাল দিয়ে পানি নদীতে প্রবাহের উপযুক্ত ব্যবস্থা না থাকায় খালের দুকুল ছাপিয়ে বসত বাড়িতে পানি ঢুকে পড়ে তলিয়ে যায় শহরের নিম্ন অঞ্চল। এলাকাবাসীর অভিযোগ এই সব জলাশয় গুলো তদারকি করার কেউ না থাকায় যার যা তাই ইচ্ছে করে যাচ্ছে।

খাল অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে দখরমুক্ত করার বিষয়ে কথা বললে কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ বলেন, কালীগঞ্জ উপজেলা দেশের দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে ব্যস্ত এবং বানিজিক উপজেলা এই উপজেলা প্রাণকেন্দ্রে এই খালটি প্রবাহিত হয়েছে। খালটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে ভূমিদশ্যুরা দখলটি করে নিয়েছে। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি অচিরেই প্রশাসনের সহয়তায় দখলমুক্ত করে পুরাতন যে রুপ ছিল সেই রুপ ফিরিয়ে আনবো।

এলাকাবাসীর দাবী প্রধান মন্ত্রীর ঘোষনা অনুযায়ী অচিরেই সকল জলাশয় মুক্ত করে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে হবে। এই নীতি অনুসারে খালটি অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে পূনরায় খনন করে পানি প্রবাহ ও পরিবেশ স্বাভাবিক রাখার ব্যবস্থা নিবেন সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ, এমনটাই প্রত্যাশা করেন এলাকাবাসী।

আর কে-০৪

 

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর