যশোরের মণিরামপুরের ঢাকুরিয়া এলাকায় ডিস লাইনের দুই কর্মচারিকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে আটক জাহিদ হাসান ওরফে মানিক। ২৪ অক্টোবর জুডিশিয়াল শ্রাজিস্ট্রেট মঞ্জুর ইসলামের কাছে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিতে মানিক জানিয়েছে মূলত আহাদকে একটু মারধোর করার কথা বলেছিল বাদল। সে মোতাবেক আহাদকে কৌশলে বাইকে ওঠায় বাদল। মানিক বাইক চালাচ্ছিল আর বাদল পেছনে বসে আহাদকে মাঝে বসিয়ে গলাই চাকু দিয়ে পোচ দেয়। আহাদ বাইকে বসেই চাকু হাত দিয়ে ধরে ফেলে ধস্তাধস্তি করে। দুজনের ধস্তাধস্তিতে বাইক কাত হয়ে পড়ে যায়। এসময় একটু আবডালে দিয়ে লুকিয়ে পড়ে মানিক।ঢাকুরিয়া ও বলরামপুরে মধবর্তী নিউসোনা ব্রিক্সের পাশে জয়ন্তার আব্দুল আহাদ মোল্লা (২৫) ও বাদল হোসেন (২২) হত্যাকান্ডের বিষয়ে এই লোমহর্ষক কাহিনী বর্ননা করে মানিক। সে জানায় নিহত আহাদ ও বাদল রুপদিয়া একটি ডিস ববসায়ীর অধীনে ডিস ও নেট কর্মচারি হিসেবে কাজ করায় তারা সহকর্মী ছিলেন। আর বাদল নতুন মোটরসাইকেল কিনে ভাড়া চালাতেন। ১৫ অক্টোবর সন্ধ্যার পরে বাদল ও আহাদ বসুন্দিয়া জয়ন্তা বাজারে কেরাম বোর্ড খেলা করছিল।মানিক ফার্নিচারের দোকানে কাজ করে। ৪ মাস আগে বাদলে সাথে মানিকের পরিচয়। কিছুদিন আগে রুপদিয়া আওয়ামীগ অফিসের ছাদে ডেকে নিয়ে বাদল মানিককে জানায় আহাদ তার পার্সোনাল মেটারে হাত দিচ্ছে। ওকে সায়েস্তা করতে হবে একটু মারধোর করতে হবে। মানিক যেনো তার সাথে থাকে। এরপর ১৫ মানিকে ফোন করে বাদল রুপদিয়া কলেজের সামনে আসতে বলে মানিককে। এদিকে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে আহাদকে মোটরসাইকেলে তুলে নেয় বাদল। পরে বাদল মোটরসাইকেল চালাতে দায়িত দেয় মানিককে। মাঝে বসানো হয় আহাদকে। আর পেছনে বসে বাদল। ঘটনাস্থল ঢাকুরিয়া এলাকায় নিউ সোনা ব্রিক্সের পাশে নির্জন এলাকায় পৌঁছে পেছন থেকে আহাদকে ছুরিকাঘাত শুরু করে বাদল। দু একটি আঘাত করার পর চাকুটি হাত দিয়ে ধরে ফেলে আহাদ। এরপর জখম আহাদ ওই চাকু দিয়েই বাদলকে কোপানো শুরু করে। এসময় মোটরসাইকেলের স্ট্রাট ছিল, লাইট জ¦লছিল। আহাদ লাইট সুইজ বন্ধ করে আবারো বাদলকে ধাওয়া করে। পালানোর চেষ্টায় দৌঁড়াতে গিয়ে পড়ে যায় বাদল। সেময় আহাদ আবারো আঘাত করে গলা কেটে হত্যা করে বাদলকে। এদিকে আগে কোপ খাওয়া আহাদ মাটিতে পড়ে যায়। এদিকে নিজে হত্যার পরিকল্পনা ও হত্যা ঘটনায় ফেঁসে যাওয়ার ভয়ে মানিক ওই চাকু দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে আহাদকে। এরপর সে মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়।
রাতদিন সংবাদ







