Saturday, December 6, 2025

নওয়াপাড়া খাদ্য গুদামে কৃষকের ধান ফেরৎ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে

বিশেষ প্রতিনিধিঃ অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া সরকারি খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কৃষকের ধান চার দিন রেখে ফেরৎ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

নওয়াপাড়া খাদ্য গুদামে ধান বিক্রয় করতে এসেছিলেন উপজেলার চেঙ্গুটিয়া গ্রামের কৃষক শামসুর রহমান (৭০) গত ২৭ মে। তার ধান গুদামের কর্মকর্তা নানা অজুহাত দেখিয়ে চার দিন গুদামের সামনে রেখে দেন। এবং গত ৩০ মে সেই ধান ফেরৎ নিয়ে জেতে বলেন। ধানের আদ্রতা বেশি আছে এমন অভিযোগে তার কাছ থেকে ধান ক্রয় করা হয়নি। কৃষক তিনি পরে ওই ধান ফেরৎ দিয়ে যান।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিস সূত্রে জানা গেছে উপজেলায় এ বছর সরসরি কৃষকের কাছ থেকে ১ হাজার ১৮৬ মে.টন ধান ক্রয় করা হবে। এছাড়া চাল কল মালিকদেও কাছ থেকে ৭ হাজার ৮৯২ টন চাল ক্রয় করা হবে। প্রতি কেজি ধান ৩০ টাকা হিসাবে ১২শ টাকা মন দরে ধান ও ৪৪ টাকা কেজি দরে চাল ক্রয় করা হচ্ছে।

কৃষক শামসুর রহমান জানান, গত চার দিন আগে আমার ভাইপো কে সাথে নিয়ে নওয়াপাড়া খাদ্য গুদামে ৩ টন ধান বিক্রি করতে আসি। গুদামের অফিসার আমাকে বলেন, আমার কাছে না শুনে ধান নিয়ে এসেছেন কেন। আমি আনেক বোঝাতে চেষ্টা করি কিন্তু তিনি রেগে যান। গুদাম কর্মকর্তা আমার ভাইপো আবদুল হাই বিশ্বাসকে বলেন অফিসার চার হাজার টাকা দিলে আপনার ধান নেওয়া হবে। আমরা টাকা দিতে না চাইলে সে ধান নিয়ে চলে যেতে বলেন। আমরা কোন উপায় না দেখে ধান ফেরৎ নিয়ে আসি।

নাম প্রকাশ না শর্তে কয়েকজন কৃষক বলেন , আমাদেও কাছ থেকে ধান ক্রয় না করে মোটা টাকা উৎকোচ নিয়ে চাকই বাজার ও আশপাশের বিভিন্ন বাজারে আড়ৎদারে কাছ থেকে ধান ক্রয় করা হচ্ছে।

১২শ টাকা মন দরে ধান জানা গেছে গুদামের গ্রামের ধান দিতে পারছে না সাধারণ কৃষক এমন অভিযোগ পওয়া গেছে। ঘটনার অনুসন্ধানে জানা যায়, গুদামের কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) অসীম কুমার মন্ডল তার পছন্দের ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ করছে। তাই নানা অজুহাতে কৃষককে হয়রানি করে ধান ফেরত দেওয়া তার নিত্য দিনের কাজ বলে একাধীক কৃষি কাডধারী কৃষক জানান।

এবিষয় নিয়ে কথা হয় শামসুর রহমানে ভাইপো আবদুল হাই বিশ্বাস এর সাথে তিনি বলেন, আমার চাচা একজন গ্রামের সাধরণ কৃষক তার এক একর আশি শতক জমিতে ধান চাষ করেন। তিনি একজন উপজেলা কৃষি অফিসের তালিকা ভুক্তো কার্ডধারী কৃষক। আমার চাচা ধান শুকনা ছিল তাদের চাহিদা মতো টাকা দেইনি বলে ধান ফেরত দিয়েছে।

আমার জানা মতে পোৎপাড়ার ধানের আড়ৎ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম রবি প্রতি বছরের নেই এবাও বিপুল ধান গুদামে দিচ্ছে। আমার চাচার ধানের থেকে তার ধান আরোও খারাপ। তার সাথে চুক্তি আছে বলে সবঠি বলে চালিয়ে দিচ্ছে। এছাড়া ধানের টাকা ঠিক সময় মত কৃষক পাচ্ছে না।

এবিষয়ে নওয়াপাড়া সরকারি খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা অসীম কুমার মন্ডল (ওসিএলএসডি) কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কৃষকের ধানের আদ্রতা বেশি ছিল বলে ফেরত নিয়ে জেতে বলেছি। টাকা চাওয়ার বিষয় সঠিক না ।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা গোপাল চন্দ্র দাস বলেন, আমি বিষয়টা জানিনা আগামী কাল জেনে বলতে পারবো। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন বলেন, কৃষকের কাছ থেকে এমন কোন অভিযোগ পাইনি পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আর কে-১৮

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর