রাতদিন ডেস্কঃ লিওনেল মেসি, নেইমারদের বাড়ির সামনে পিএসজির সমর্থকদের বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। বিক্ষোভের তোপ এবং পরিধি আরো বেড়েছে। মেসি-নেইমারের সঙ্গে পিএসজির সমর্থকদের রোষানলের আগুনে যুক্ত হয়েছেন ইতালিয়ান মিডফিল্ডার মার্কো ভেরাত্তিও। মানে মেসি, নেইমারের পাশাপাশি ভেরাত্তির বাড়ির সামনেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় মেসি-নেইমার-ভেরাত্তির বাড়ির সামনে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত করা হয়েছে বাড়তি পুলিশ।
বর্তমানে পিএসজির অবস্থা টালমাটাল। উত্তপ্ত এই পরিস্থিতির মধ্যেই মেসি-ভক্তদের জন্য ছোট একটা সুখবর আছে। নিষেধাজ্ঞা শেষে মেসিকে আবার খেলানোর আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পিএসজির কোচ ক্রিস্টোফার গালতিয়ের। পিএসজি কোচ চান দুই সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞা শেষে মৌসুমের বাকি ম্যাচগুলো মেসি খেলুক। কিন্তু সবে শুরু হওয়া নিষেধাজ্ঞা শেষ হতে অনেকটা দেরি।
ক্লাবের নিষেধ সত্ত্বেও লিওনেল মেসির সৌদি আরবে যাওয়াকে কেন্দ্র করেই ক্ষোভের আগুনে জ্বলে উঠেন পিএসজির সমর্থকরা। বিশেষ করে ফরাসি ক্লাবটির উগ্রপন্থী সমর্থকরা প্রথমে মেসি-ইস্যুতেই বিক্ষোভ শুরু করে। পরে পিএসজির চরমপন্থী সমর্থকদের দ্রোহের আগুনে যুক্ত হন নেইমার। বারণ সত্ত্বেও সৌদি আরবে যাওয়ায় মেসিকে দুই সপ্তাহের জন্য নিষিদ্ধ করার পরপরই উগ্রবাদী ঐ সমর্থকরা নেইমারের বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। নেইমারকে ক্লাব ছাড়ার দাবিও তোলেন তারা। আরো পরে সমর্থকদের ক্ষোভের আগুনে যুক্ত হয়েছেন ভেরাত্তি।
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপাকে কেন্দ্র করেই কাড়ি কাড়ি টাকা ঢেলে নেইমার, ভেরাত্তি, মেসিদের দলে ভিড়িয়েছে পিএসজি। কিন্তু মেসি-নেইমার-ভেরাত্তিরা এখনো পর্যন্ত ক্লাবের সেই আশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই হতাশার মধ্যেই মেসি-নেইমাররা নাকি ক্লাব ছাড়ার কথা ভাবছেন। বিশেষ করে মেসি। যে কারণে তিনি এখনো পিএসজির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেননি।
যাই হোক, চুক্তি নিয়ে অস্থিরতার মধ্যেই নিষেধ সত্ত্বেও মেসির সৌদি আরবে যাওয়াটা ভালোভাবে নেয়নি ক্লাব পিএসজি। পিএসজির উগ্রবাদী সমর্থকরা তো ক্ষোভের আগুনে ফুসেই উঠেছে। মেসির সঙ্গে নাকি নেইমারও ক্লাব ছাড়তে চান, তাই তার বাড়ির সামনেও বিক্ষোভ করেন সমর্থকরা।
মজার বিষয় হলো, ইনস্টাগ্রামের এক পোস্টে লাইক দিয়ে নেইমার পিএসজি সমর্থকদের সেই ক্ষোভে আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন। ‘অফউইক্লিয়ার’ নামের ইনস্টাগ্রামের একটি পেজ নেইমারের বাড়ির সামনে সমর্থকদের বিক্ষোভের ভিডিও নিয়ে একটা রিল পোস্ট করে। তার ক্যাপশনে পিএসজির সমর্থকদের আচরণের কড়া সমালোচনা করা হয়।
সেখানে পরিষ্কার করে বলা হয়, ‘এটাই হচ্ছে বড় দল হওয়া আর সত্যিকার বড় দল হয়ে থাকার মধ্যে পার্থক্য। পিএসজিতে এটিরই অভাব। পিএসজির সমর্থকদের মধ্যে বড় দল হওয়ার এই ব্যাপারগুলোই নেই। আসলে পিএসজি একটা ছোট দল।’
সমর্থকদের ক্ষোভের মধ্যে এই পোস্টেই ‘লাইক’ মেরেছেন নেইমার। ব্রাজিল তারকার এই ‘লাইক-কাণ্ড’ শুধু সমর্থক নয়, বস্তায় বস্তায় টাকা ঢালা পিএসজির কর্তাদেরও পছন্দ হয়নি।
এমএইচ-০৩







