যশোরের কেশবপুরের বগা পশু হাট থেকে মাত্র আড়াই কিলোমিটার দূরে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার অভয়তলা মোড়ে অবৈধ হাট স্থাপন করা হয়েছে। শুধুই তাই নয়, একই দিন অর্থাৎ রোববার ও বৃহস্পতিবারে পাশাপশি ওই দুইটি হাটেই কার্যক্রম চলছে। অবৈধ এ হাটের জন্য একটিদিকে যেমন বৈধ হাটের উপর প্রভাব পড়ছে অন্যদিকে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। ফলে এ অবৈধ হাট বন্ধের দাবিতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার, যশোর ও সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক, কেশবপুর ও তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের ১১টি দপ্তরে লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, যশোরের কেশবপুর উপজেলার দেড়শো বছর আগে পেরিফেরিভুক্ত বগার পশু হাটটি গড়ে ওঠে। সপ্তাহে রোববার ও বৃহস্পতিবার ওই পশুহাটটি পরিচালিত হয়ে আসছে। ১৫০ বছর ধরে বগা বাজারে ইজারা গ্রহণ করে সরকারের তহবিলে বিপুল পরিমাণ টাকা রাজস্ব দেওয়া হয়। কিন্তু বগা বাজারের পশু হাট হতে মাত্র আড়াই কিলোমিটার দূরে পাশ্ববর্তী সাতক্ষীরার তালা উপজেলার অভয়তলা মোড়ে সেখানকার স্থানীয় লোকজন কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমানের সঙ্গে যোগসাজসে বেআইনিভাবে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে রোববার ও বৃহস্পতিবার পশুহাট বসিয়েছে। যার কোন বৈধতা নেই।
অভয়তলা মোড়ের পশু হাটটি বন্ধ না করলে বগা বাজারের ইজারাদাররা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ওই পশুহাটটি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে বগা বাজার কমিটির নেতা নজরুল ইসলাম বিভিন্ন দপ্তরে এ আবেদন জানান।
এ বিষয়ে তালা উপজেলার কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান বলেন, প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই দুই মাস আগে এ পশুহাট করা হয়েছে। এ হাট বসানোর বিষয়ে তাদের সকল ধরনের কাগজপত্র রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
সাতক্ষীরার তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আরাফাত হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে যশোরের কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কাছে তদন্ত করতে দেওয়া হয়েছে। ওই পশুহাটটি যদি অবৈধ হয় তাহলে বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একটি সূত্র জানায়, সরকারে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হাতছাড়া হলেও এর মাঝে একটি চক্র অভয়তলা মোড়ের হাটকে পুঁজি করে আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে যাচ্ছেন।
বিশেষ প্রতিনিধি
আর কে-০৮







