Saturday, December 6, 2025

খুলনায় সমাবেশে যাওয়ার পথে বাস থেকে নামিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের মারধরের অভিযোগ

মোঃ হাবিব ওসমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ১০ দফা দাবিতে খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে যাওয়ার পথে বাস থেকে নামিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কুষ্টিয়া জেলা দৌলতপুর থেকে আসা নেতাকর্মীদের বাস থেকে নামিয়ে মারধর ও বাসে ভাংচুর চালানো হয়। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা বিভিন্ন দিকে ছোটাছুটি শুরু করে।

হামলায় আহত রকি হোসেন, আব্দুস শুকুর, আকিব হোসেন, বাহাদুর, আমজেদ হোসেন, নাসির হোসেন, পাঞ্জু শেখ ও লিটন হোসেনকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

মারধরের শিকার আহত আব্দুস শুকুর জানান, শনিবার সকালে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে ১২টি বাস ও ১০টি মাইক্রোবাসে খুলনায় বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে রওনা দিই। পথিমধ্যে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার এলাকায় পৌঁছালে বাসের সামনে ব্যারিকেড দেয় কয়েকজন। এ সময় বাস থেকে নামিয়ে তাদের মারধর করা হয়। প্রায় ৫০ জন তাদের উপর হামলা চালায়। এ সময় তাদের বাস ও মাইক্রোবাস ভাংচুর করা হয়। এ সময় তাদের জামা কাপড়ও ছিড়ে ফেলা হয়। তাদের বাসগুলো আটকিয়ে রাখা হয়েছে। তারা প্রাণভয়ে বিভিন্ন গ্রামের মধ্যে চলে গেছে। এখন পায়ে হেঁটে যশোরের দিকে যাচ্ছেন। আহত কয়েকজনকে স্থানীয় জননী ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের সাবেক চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন জানান, ৫০ জনের একটি দল তাদের বাসের সামনে ব্যারিকেড দেয়। তাদের হাতে চাপাতি, লাঠি, দা ছিল। এ সময় তিনি বাস থেকে নেমে কথা বলতে গেলে তাকে মারধর করা হয়। এ সময় বাস থেকে নেতাকর্মীদের একে একে নামিয়ে বেধড়কভাবে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। তাদের গাড়ি গুলো আটকিয়ে রাখা হয়েছে। প্রায় ৮০০ নেতাকর্মী নিয়ে তারা খুলনার সমাবেশে যাচ্ছিলেন। হামলায় তিনিসহ ৯ জন গুরুত্বর আহত হয়েছেন। অন্তত ২০০ জনকে মারধর করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

তিনি আরো জানান, এখন পায়ে হেটে ও ভ্যানে করে যশোরের দিকে যাচ্ছেন। যেকোন মূল্যে তারা খুলনার সমাবেশে যোগ দিবেন।

বারবাজার পুলিশ ক্যাম্পের এসআই হায়াত মাহমুদ জানান, তিনি বারবাজার বাস স্ট্যান্ডে যাত্রীদের মাঝে ঝামেলা হওয়ার খবর পেয়েছেন। কিন্তু তারা বিএনপি কর্মী কিনা জানেন না।

এ ব্যাপারে জানতে কালীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রহিম মোল্যার মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

 

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর