Saturday, December 6, 2025

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে যশোরে দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দুর্যোপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। রোববার মধ্যেরাত থেকে বাতাস কিংবা দমকা হাওয়ার সঙ্গে মাঝারি থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি থাকে। দুপুরের পর থেকে বৃষ্টির মাত্রা বাড়তে থাকে।  সোমবার বেলা ১২ টা পর্যন্ত ২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এর আগে গতকাল রোববার বিকেল থেকে যশোরে গুমট আবহাওয়া বিরাজ করে। সবত্র আকাশ ছিলো বেশ মেঘলা। যশোরে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। এতে করে বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষজন। এদিকে,  বৃষ্টিতে কৃষকের আমনধানে সদ্য শীর্ষ বের হওয়া ধানগাছের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। অধিকাংশ মাঝে ধানগাছ জমিতে পড়ে গেছে। বৃষ্টি যদি দীর্ঘ হয় তাহলে ক্ষতির পরিমাণ বেশি হবে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
যশোর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস সূত্র মতে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘুৃর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ আরও ঘনীভ‚ত হয়ে বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে আসছে। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ভোরে ঘূর্ণিঝড়টি উপক‚লে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দুর্যোপ‚র্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। রোববার দিনের একটি বড় অংশ সবত্র আকাশ মেঘলা ছিলো। পরে রোববার রাত থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়। মধ্যে রাত থেকে বাতাস কিংবা দমকা হাওয়ার সঙ্গে মাঝারি থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি অব্যহত রয়েছে। সোমবার রাতে বৃষ্টিও বাতাসের গতিবেগ বাড়তে পারে। এমন দুর্যোগপ‚র্ণ আবহাওয়া মঙ্গলবারও বিরাজ করবে। বাতাসের গতিবেগও বাড়বে। বুধবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস তারা। যশোরে সোমবার বেলা ১২ টা পর্যন্ত ২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করা হয়েছে।  বাতাসের গতিবেগ ৫২ থেকে ১১০ নটিক্যাল মাইল রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে, মাঝারি বা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির কারণে সব থেকে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। সকাল থেকে খেটে খাওয়া মানুষকে বেকায়দায় পড়তে হয়েছে। ঈদগা মোড়ে রিকসা চালক জামাল শেখ বলেন, বৃষ্টির ঝড়ের কারণে মানুষ বাইরে কম বের হয়েছে। রিকসা চালাতে পারিনি। রোজগারও নেই। কোনো আয় না থাকায় অনেক কষ্টের মধ্যে আছি। যশোরের মণিরামপুর উপজেলার সরসকাঠি গ্রামের কৃষক আজিজুর রহমান বলেন, মাঠে আমন ধানের শীষে পরিপূর্ণ হচ্ছে। এমন সময়ে ঝড়ে ধান গাছগুলো সব জমিতে পড়ে যাচ্ছে। এর ফলে ধানের সঠিক ফলন না হওয়ার শঙ্কায় রয়েছি। শেষ সময়ে এসে ধানের জন্য এই ঝড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ালো। এই বৃষ্টি যদি অব্যাহত থাকে ধানের অনেকটাই নষ্ট হয়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন বলেন এই কৃষক। যশোরের সবজি জোননামে খ্যাত সদরের চুড়ামনকাটি গ্রাম। এই গ্রামের কৃষক বিল্লাল হোসেন জানান, বৃষ্টিতে তেমন ক্ষতি হবে না সবজি চাষে। বৃষ্টি আর্শিবাদ মনে করছি। তবে ঝড় সব সময়ই কৃষকদের ভোগান্তি ও ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মঞ্জরুল হক বলেন, ‘এই বৃষ্টি তেমন ক্ষতির কারণ হবে না। তবে ঝড়ের আঘাত আনলে অনেকেটাই ক্ষতি হতে পারে। এখন পর্যন্ত  আমনধানের ক্ষতি হওয়ার কোন তথ্য আমরা পায়নি।

বিশেষ প্রতিনিধি

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর