Friday, December 5, 2025

শিক্ষকরা এখন কোচিং বাণিজ্য নিয়ে ব্যাস্ত

চলমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলার অংশ হিসেবে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ রাখার জন্য সরকারিভাবে নির্দেশনা দেয়া হলেও যশোরের বিভিন্ন অঞ্চলে থেমে নেই কোচিং বাণিজ্য।সরকারি নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কিছু অসাধু শিক্ষক তাদের কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন দেদারছে। অনেকে আবার নিজ বাসায় একাধিক শিক্ষার্থী একত্রিত করে চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের প্রাইভেট বাণিজ্য। ফলে এসব শিক্ষকরা একদিকে সরকারি নির্দেশনাকে থোরায় কেয়ার করছেন, অপরদিকে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার ক্ষেত্রে চরম অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন সচেতন মহল।ইতোপূর্বে সামান্য কিছু কোচিং সেন্টারে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চলেছে এবং তা এখনও পর্যন্ত বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু সব এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান না থাকায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কিছু অসাধু শিক্ষক তাদের কোচিং সেন্টারগুলো অল্প কিছুদিন বন্ধ রাখলেও অতিরিক্ত অর্থ আয়ের লোভে পুণরায় তা চালু রেখেছেন, যা জনস্বাস্থের জন্য খুবই হুমকি স্বরূপ হয়ে দেখা দিয়েছে।এসব কোচিং সেন্টারের পাঠদান শেষে জোটবদ্ধ শিক্ষার্থীদের দেখে এ দেশে করোনা নামক ভাইরাসজনিত কোনো রোগ আছে বলে মনেই হয় না। পাঠ গ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মুখে নেই কোনো মাস্ক, নেই শারীরিক দূরত্ব। সকলেই পাশাপাশি বসে পাঠ গ্রহণ ও চলাচল করছে অবলিলায়।বর্তমানে দেশের প্রায় সব প্রতিষ্ঠান চালু হলেও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জীবন রক্ষার্থে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারি নির্দেশে এখনও পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে।কবে নাগাদ প্রতিষ্ঠানগুলো সচল হবে সে বিষয়ে এখনও অবধি কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে টাকার বিনিময়ে ব্যক্তিগতভাবে প্রাইভেট পড়ানো কিম্বা কোচিং করানো সম্পূর্ণ নিষেধ থাকা সত্বেও এই করোনাকালেও অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মরত শিক্ষকেরা একই প্রতিষ্ঠানে তাদের প্রাইভেট বাণিজ্য চালু রেখেছেন বলে সরেজমিনে দেখা গেছে। অনেকেই আবার নিজস্ব কোচিং সেন্টারে, কেউ বা নিজ বাড়িতে শিক্ষার্থীদের একত্রিত করে তাদের কোচিং ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।যশোরের রূপদিয়া, বসুন্দিয়া, ভিটাবল্যা, মাগুরা অঞ্চলে কোন নিয়ম-নীতি না মেনে দেদারছে চলছে এসব কোচিং বাণিজ্য। এ ব্যাপারে অসাধু শিক্ষকদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি করোনার মারাত্মক ঝুঁকি থেকে কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণকে রক্ষা করতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ঝটিকা অভিযান চালানো প্রয়োজন বলে মনে করেন সচেতন মহল।

অনলাইন ডেস্ক

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর