শারদীয় দুর্গোৎসবের বিজয়া দশমীতে বুধবার দুপুরে যশোরে মণ্ডপে মণ্ডপে সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন নারীরা। দেবী দুর্গার চরণ থেকে সিঁদুর নিয়ে তারা একে অপরের মাথায় দেন। কেউ কেউ শেষবারের মতো দেবী দুর্গার সিঁথিতে লাগিয়ে দেন সিঁদুর। এরপর সন্ধা থেকে যশোরে প্রতীমা বিসর্জন শুরু হয়। এভাবেই পাঁচ দিনের এই শারদীয় উৎসব শেষ হয়। ভক্তরা চোখের জল ফেলে এক বছরের জন্য দেবী দুর্গাকে বিদায় জানান। দেবীকে বিদায় জানাতে ভক্তদের ঢল নামে যশোরের লালদিঘী পাড়ে।
বুধবার বড়বাজার কালী মন্দিরে গিয়ে দেখা যায়, বিজয়া দশমীর পূজা অর্চনা শেষে স্বামীর মঙ্গল কামনায় সিঁদুর খেলায় মেতেছেন নারীরা। মায়ের চরণের সিঁদুর নিয়ে নিজেদের রাঙিয়ে তুলছেন তারা। সিঁদুর খেলা শেষে শেষবারের মতো দেবী দুর্গার আরাধনা করেন। এরপর দেবীকে বিদায় জানানো হয়।
সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে নিরঞ্জন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন যশোরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) তমিজুল ইসলাম ।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপংকর দাস রতনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক তপন ঘোষের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দ্দার, পুলিশ সুপারের সহধর্মিনী বিপ্লবী জোয়ার্দ্দার, যশোর পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গণি খান পলাশ, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ। অনুষ্ঠান শুরুর পর থেকে একের পর এক প্রতীমা আসতে থাকে। রীতি অনুযায়ী, প্রতীমাকে সাত পাক ঘুরিয়ে তোলা হয় নৌকায়। চলে ঢাক-ঢোল ও বাদ্যের তালে মন্ত্রপাঠ। এভাবে কিছুক্ষণ নৌভ্রমণ শেষে পদ্মার বুকে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে বিদায় জানানো হয় দেবীকে।
দেবী দুর্গা এবার স্বর্গে বিদায় নেন নৌকায় চড়ে। বিসর্জনের এ দৃশ্য দেখতে পদ্মাপাড়ে ভিড় করেন অসংখ্য ভক্ত। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপংকর দাস রতনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক তপন ঘোষের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দ্দার, পুলিশ সুপারের সহধর্মিনী বিপ্লবী জোয়ার্দ্দার, যশোর পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গণি খান পলাশ, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ। লালদীঘিতে ৪৮টি মন্দিরের প্রতিমা বিসর্জন করা হয়।
রাতদিন সংবাদ







