Saturday, December 6, 2025

যশোরে রিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ২

যশোর সদরের চুড়ামনকাটিতে রিকশাচালক আলমকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ১১ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। এরমধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে নিহতের স্ত্রী রোকসানা বেগম মামলা দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে ওই দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।

আটককৃতরা হলো চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দাউদ হোসেনের ছেলে রক্সি ও চুড়ামনকাটি এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে মানিক।

মামলার অপর আসামিরা হলেন, ছাতিয়ানতলার মোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান রুনু, শহিদের ছেলে সুমন হোসেন, কুঠিপাড়ার উসমানের ছেলে মাহমুদুর হাসান মামুন, মন্ডলপাড়ার জালালের ছেলে সাদ, চুরামনকাটির রবির ছেলে রকি, বাগডাঙ্গার মজনুর ছেলে ইকরাম হোসেন, শ্যামনগরের আষাড়ের ছেলে বাদল, মধ্যপাড়ার সৈয়দ আলীর ছেলে আমিরুল ইসলাম, চুরামনকাটির মোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে রান। এছাড়াও এমামলায় অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন জানান,রিকশাচালক আলম বছর খানেক আগে চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্নার রাইস মিলে চাকরি করতেন। সেই সুবাদে তিনি চেয়ারম্যানের মিছিল মিটিংয়ে অংশ নিতেন। নির্বাচনে মুন্না চেয়ারম্যান পরাজিত হলে নতুন চেয়ারম্যান দাউদ আলীর লোকজন আলমসহ বেশ কয়েকজনের বাড়ি ভাঙচুর করে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেয়। এরপর থেকে আলম যশোর শহরের পালবাড়িতে ভাড়া বাসায় বসবাস এবং রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। শুক্রবার দুপুরের দিকে আলম চুড়ামনকাটি এলাকায় গেলে দাউদ চেয়ারম্যানের লোকজন তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রোকসানা বেগম শুক্রবার রাতে ১১জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।

এএসপি বেলাল হোসেন আরো জানান, মামলা পাওয়ার পর রাতেই অভিযান চালিয়ে হত্যায় জড়িত দাউদ চেয়ারম্যানের ছেলে রক্সি ও তার সহযোগী মানিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা তদন্তকারী অফিসার এসআই সালাউদ্দিন জানান, ধৃত আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে । তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হবে এবং ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের আটকের জন্য পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছ।

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর