শনিবার সাবেক এক ঝাক খেলোয়ারদের মিলন মেলায় পরিণত হয় পাইকগাছার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ। সোনালী অতীতের খেলোযাররা যে আবার মাঠে ফুটবলের যৌলুস ছড়াবে সে খবরে এলাকার ফুটবল প্রেমিদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে মাঠ। লাল নীল জার্সি পরে দুইদলে ভাগ হয়ে চলে দুর্দন্ত ফুটবলের লড়াই। দুইদলেই গোল আদায়ের চেষ্টা চালায় সমান তালে। চলে আক্রমন পাল্টা আক্রমন। সময় যত অতিত্রæম হতে থাকেই ততই ফুটবলের এ নান্দনিক কসদ দেখতে ভির বাড়তে থাকে মাঠে । সাবেক খেলোয়ারদের পায়ের নান্দনিক কসদ দেখে মুগ্ধ হন সবাই।
পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ, থানা ও পৌরসভা আয়োজিত সাবেক কৃতি ফুটবলারদের সমন্বয়ে এই প্রীতি ফুটবল ম্যাচে গোল শুন্য অবস্থায় শেষ হয়। শেষমেষ টাইব্রেকারের মাধ্যমে পাইকগাছা ফুটবল একাদশ কে দুই – শুন্য গোলে হারিয়ে কয়রা ফুটবল একাদশ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
আয়োজন কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টুকে সাথে নিয়ে খেলা উপভোগ করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর,ওসি জিয়াউর রহমান, সোলাদানা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান গাজী, প্রধান শিক্ষক অজিতকুমার সরকার, বড়দল ইউপি চেয়ারম্যান জগদীশ চন্দ্র সানা, কয়রা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছামাদ গাজী, প্রভাষক শাহনেওয়াজ শিকারী, পৌর প্যানেল মেয়র মাহবুবুর রহমান রঞ্জু, ষোলআনা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জি এম শুকুরুজ্জামান। খেলা শেষে বিজয়ী দলের পক্ষে ট্রপি গ্রহন করেন, অধিনায়ক আমাদী ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল ও কয়রা সদর ইউপি চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম। রানার্স আপ দলের পক্ষে ট্রপি গ্রহন করেন অধিনায়ক আজিবর রহমান । ম্যাচ সেরা পুরস্কার নেন সাবেক কৃতি ফুটবলার ও গড়ইখালী ইউপি চেয়ারম্যান জি এম আব্দুস ছালাম কেরু। প্রধান ম্যাচ রেফারি ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিলীপ চন্দ্র সানা, সহকারী রেফারি ছিলেন একরামুল ইসলাম ও এ্যাডঃ মঞ্জুরুল ইসলাম। ধারা বর্ণনায় ছিলেন নুরুজ্জামান টিটু ও আশরাফুল ইসলাম।
সুস্থ ধারার খেলাধুলার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে মাঠমুখি করতে তাদের এ আয়োজন বলে জানান আয়োজক কমিটির নেতৃবৃন্দরা।
খাইরুল ইসলাম, পাইকগাছা থেকে







