মাসুম বিল্লাহ: শহীদ মুক্তিযোদ্ধা শেখ শাহাবুর রহমান আওয়ামী লীগের রাজনীতি সক্রিয় ছিলেন। শুধু তাইনয়, বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারের দাবীতে যশোরে সর্বপ্রথম মাঠে লাভে প্রতিবাদ করার অপরাধে নির্মমভাবে সেনাবাহিনী কর্তৃক নিহত হন। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে যশোরের মানুষের কাছে পরিচিত নাম শেখ শাহাবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন শেখ শাহাবুর রহমান একাত্তর সালে তিনি যশোর জেলা মুজিব বাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। শহীদ শেখ ফজলুল হক মনির নেতৃত্বে গঠিত বাংলাদেশ যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ছিলেন। তিনি বৃহত্তর যশোর জেলা যুবলীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর দিন শেখ শাহাবুর রহমানের নেতৃত্বে বৃহত্তর যশোর জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রতিবাদ মিছিল বেরকরা হয়, এবং শত শত মানুষদের নিয়ে যশোরে তিনি প্রথম প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। বঙ্গবন্ধু সপরিবারে হত্যা হওয়ার পর ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে অধ্যায়নরত শেখ হেলাল হত্যা হতে পারে বলে তিনি গোপন সূত্রে জানতে পেরে, সাথে সাথে সে নিজের জীবন বাজি রেখে নিজের গাড়িতে করে শেখ হেলাল কে উদ্ধার করে নিরাপদে ভারোতে পৌঁছে দেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ মিছিল সমাবেশ করায় ১৯৭৫ সালের ৩০ আগস্ট যশোর ক্যান্টনমেন্ট তৎকালীন ডিজিএফআইয়ের ক্যাপ্টেন ইয়াজদানীর নেতৃত্বে একটি সামরিক বাহিনীর শেখ শাহাবুর রহমানকে যশোর খাজুরা বাজার থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এরপর ১৮ দিন পর ১৭ সেপ্টেম্বর তারিখে যশোর শহরের বারান্দিপাড়া ঢাকা রোড ব্রিজের নিচে তার বস্তাবন্দি লাশ পাওয়া যায়। তার শরীরের কোনো চামড়া ছিল না!! পুরো শরীরের চামড়া ব্লেড দিয়ে কেটে লবণ মাখিয়ে মারাত্মক ভাবে অত্যাচার করে হত্যা করা হয়। শেখ শাহাবুর রহমানের বড় ভাই শেখ সরোয়ার একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন এবং তাদের বংশে তার দুই ভাইসহ মোট ১১ জন মুক্তিযোদ্ধা।







