হাবিব ওসমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ অফিস সহায়কের পর এবার এক কলেজ ছাত্রকে মারপিট ও শোক দিবসের পাঞ্জাবী ছিড়ে দেবার অভিযোগ উঠেছে কলেজ শিক্ষক আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে। তিনি কালীগঞ্জ সরকারী এম ইউ কলেজের কম্পিউটার অপারেশন শাখার প্রভাষক।
বুধবার বেলা ১১ টার দিকে কলেজের সাধারন ছাত্রছাত্রীদের শান্তিপূর্ণ মিছিল থামিয়ে তিনি অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্র শেখ হাসিবুল ইসলামকে প্রহার করেন বলে অভিযোগ। এ ঘটনায় ওই ছাত্র অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানাতে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। উল্লেখ্য, ওই শিক্ষক আব্দুল লতিফ গত ৩’রা জুলাই তুচ্ছ ঘটনায় একই কলেজের অফিস সহায়ক তাপস সাধু খাঁকে মেরেও আহত করেছিল। এছাড়াও কলেজের মালামাল তসরুপ ও অন্নান্য ষ্টাফদের সাথে অশোভন আচরনের দ্বায়ে তিনি সাময়িক বহিস্কার হয়েছিলেন।
ছাত্রলীগ নেতা শেখ হাসিবুল ইসলাম জানায়, অত্র কলেজের বহিস্কৃত অধ্যক্ষ মাহবুবার রহমান কয়েক মাস পর পর ক্ষনিকের জন্য কলেজে এসে বিবাদ সৃষ্টি করে থাকেন। ওই অধ্যক্ষ এদিন কলেজে আসছেন জানতে পেরে তারা ক্যাম্পাসের শৃংখলা বজায় রাখতে বেলা ১১ টার দিকে সাধারন ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে মিছিল বের করে। তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলটি ক্যাম্পাস ঘুরে কলেজ গেটে অবস্থান নেয়।
এ সময় কলেজের কম্পিউটার অপারেশন শাখার প্রভাষক আব্দুল লতিফ সেখানে এসে উত্তেজিত হয়ে ছাত্রদের মিছিল ও স্লোগান বন্ধ করতে বলে। এক পর্ষায়ে শিক্ষক আব্দুল লতিফ মিছিলে ঢুকে ছাত্র হাসিবুলকে ধরে শোক দিবসের পান্জাবি ছিড়ে দেবার পর তাকে মারধর করেন। এ সময় অন্নান্য ছাত্ররা মারপিটে নিষেধ করলে তাদেরকেও হুমকি ভয়ভীতি দেখায় ওই শিক্ষক। এ ঘটনায় ভ’ক্তভোগী ছাত্র হাসিবুল থানাতে একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রকে মারধর ও পান্জাবি ছেড়ার বিষয়ে প্রভাষক আব্দুল লতিফ সাংবাদিকদের জানান, ওই ছাত্রের সাথে তার দেখা বা কোন কথাও হয়নি। ঘটনাটি একেবারেই মিথ্যা বানোয়াট।
অত্র কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেনের ০১৭১৫-৭৪৩৪০২ নং মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বেলা ১১ টায় অফিস রুমে থাকলেও কলেজ গেটে ছাত্র শিক্ষকের মধ্যে কোন ঘটনা ঘটেছে কি না তার কিছুই বলতে পারেন না।
কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া জেরিন জানান, কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষক ছাত্রের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনাটি তিনি কিছুই জানেন না। কোন শিক্ষক বা ছাত্র তার কাছে কোন অভিযোগও করেননি। বিষয়টি খোজ নিয়ে ব্যাবস্থা নিবেন বলে জানান তিনি।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রহিম মোল্ল্যা জানান, কলেজের ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত করে ব্যাবস্থা নিবেন বলে জানান তিনি।
আর কে-০৫







