নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যর দাম লাগামহীন ভাবে বেড়েই চলছে। প্রতিদিনই প্রায় প্রতিটি পণ্যে দাম ঊর্ধ্বমুখী। গরীবের প্রিয় মুরগীর ডিম দামী পণ্য হতে চলছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের হালি এখন অর্ধশতকের ঘরে। আজ খুচরা বাজারে প্রতি হালি মুরগির ডিম (লাল) বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫২ টাকায়। আর ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায়।
এক সপ্তাহ আগেও ডজন প্রতি ডিম ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তা এখন ডজনে ২০-২৫ টাকা বেড়েছে। ডিমের পিচ হিসেবে দাম পড়ছে প্রায় ১৩ টাকা।
পাইকারি বাজারে একই ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১ থেকে ১২ টাকায়। প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪৪ থেকে ১৪৫ টাকায়।
অন্যদিকে হাঁসের ডিম হালি বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। অর্থ্যাৎ প্রতি ডিমে ক্রেতাকে খরচ করতে হচ্ছে ১৫ থেকে ১৬ টাকা। শনিবার (১৩ আগস্ট) যশোরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে ডিমের দামের এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে পরিবহন খরচ বৃদ্ধি ও ডিমের উৎপাদন কমে যাওয়াকে দায়ী করছেন বিক্রেতারা। জানতে চাইলে বড় বাজারের এক ডিম বিক্রেতা বলেন, ডিমের দাম বৃদ্ধির প্রধান কারণ উৎপাদন কমে গেছে।
দাম বাড়ায় ডিম বিক্রি কমেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, দাম বাড়লে বিক্রি কিছুটা কমে। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য হওয়ার কারণে তেমন কমে নাই্। দাম বৃদ্ধির কারণে এখন মানুষ একটু কম দামে পাওয়ার আশায় বাজারে এসে ডিম কিনছে। এলাকার দোকানে একটু বেশি দামে কিনতে হয়। এছাড়া অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী দোকানে ডিম রাখছে না অতিরিক্ত দামের কারণে।
ওয়াসিম হোসেন







