Friday, December 5, 2025

রাতের আধারে কুকুরের উৎপাতে অতিষ্ঠ পৌরবাসী

যশোর শহরে বেওয়ারিশ ও পাগলা কুকুরের উৎপাত ব্যাপক আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে।বিশেষ করে রাত হলে পথচারীদের কুকুরের উৎপাতে নাজেহাল হতে হয়।  এসব কুকুরের কামড়ে পথচারীরা আক্রান্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। শহরের বিভিন্ন রাস্তায় দল বেধে আক্রমণ করছে এসব কুকুর। রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করা রীতিমতো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পথচারীরা পাগলা কুকুর আতঙ্ক দূর করার দাবি জানিয়েছে।যমেক হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, প্রায় প্রতিদিনই পাগলা কুকুরের কামড়ে মানুষ কমবেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এরপর প্রাথমিক চিকিৎসা নিচ্ছে হাসপাতাল থেকে। কেবলমাত্র সেপ্টেম্বর মাসের এক সপ্তাহে ১১ জন ভ্যাকসিন নিয়েছেন। ঘোপ কুইন্স হাসপাতাল এলাকার আরমান জানান,গত কয়েকদিন আগে তিনি রাতে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। এমন সময় কুইন্স হাসপাতালের সামনে আসলেই একদল কুকুর তার উপর আক্রমণ চালায়।শহরের মিশনপাড়ার আব্দুর রাজ্জাক জানান, ৬ সেপ্টেম্বর তার ছোট মেয়ে জান্নাত (৭) বাড়ির সামনে খেলছিল। এ সময় পাগলা কুকুরের আক্রমণের শিকার হয় শিশুটি। বেওয়ারিশ কুকুর সন্ধ্যার পরপরই শহর ও শহরতলির বিভিন্ন রাস্তায় দল বেধে ঘোরাঘুরি করছে। তাদের উৎপাত চরম আকার ধারণ করেছে।পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের একাধিক বাসিন্দা বলেন, বর্তমানে মাত্রাতিরিক্ত কুকুর বেড়েছে। এরমধ্যে পাগলা কুকুরও রয়েছে। এসব কুকুর মানুষ দেখলেই আক্রমণ করছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন আক্রান্ত হয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত বেপরোয়া আচরণ করছে এসব কুকুর। যদিও দিনের বেলায় পাগলা কুকুরের তেমন একটা দেখা পাওয়া যায় না। ভোরে নামাজের সময় মুসল্লিদের ওপর কুকুরের আক্রমণ প্রায় হচ্ছে। কুকুরের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে ঘটছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। পৌরসভার স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ওহিদুজ্জামান বলেন, বর্তমান কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। পৌরসভা ও যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে যৌথভাবে আক্রান্তদের ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে পৌর সচিব আজমল হোসেন জানান, পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রতি বছরই বেওয়ারিশ কুকুর নিধন করা হতো। কিন্তু হাইকোর্ট কুকুর না মারার জন্যে রুল জারি করার ফলে বেওয়ারিশ কুকুর নিধন বন্ধ হয়ে গেছে। তারপরও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। পাগলা কুকুরের হাত থেকে নাগরিকদের রক্ষা করতে শিগগিরই ভিন্ন কৌশল গ্রহণ করা হবে।

বিশেষ প্রতিনিধি

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর