শামিম হোসেন, কুয়াদা প্রতিনিধিঃ মণিরামপুরে যৌতুকের এক লাখ টাকা দিতে না পারায় দুই সন্তান সহ এক গৃহবধুকে বেধড়ক মারপিট করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বিকেলে মণিরামপুর উপজেলার খাকুন্দী গ্রামে। এ ঘটনায় নির্যাতিতা গৃহবধু স্বামী সহ তিনজনের বিরুদ্ধে মণিরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে মণিরামপুর থানা পুলিশ।
মণিরামপুর উপজেলার ভোজগাতী ইউনিয়নের জামজামি গ্রামের মােঃ হাতেম আলী মোল্যা’র মেয়ে ফাতেমা খাতুন অভিযোগে উল্লেখ করেন, খাকুন্দী গ্রামের মৃত আকমাল গাজীর ছেলে আলাউদ্দিন গাজীর সাথে তার ১২ বছর আগে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী সাংসারিক খুটিনাটি বিষয় ও যৌতুকের দাবিতে প্রায় সময় শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন করতে থাকে।এরমাঝে তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ের জন্ম হয়। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে ফাতেমার বাবা ইতিমধ্যে যৌতুক হিসেবে নগদ এক লাখ টাকা সহ সংসারের বিভিন্ন আসবাবপত্র দেয়। কিন্তু তাতেও মন গলেনা স্বামী আলাউদ্দিনের। এরপরও একলাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে মারপিট ও নির্যাতন অব্যহত রাখে। সাথে যোগ হয়, আলাউদ্দিনের আগের ঘরের সন্তান আলম গাজী ও জয়পুর গ্রামের আব্দুল আলীম। সর্বশেষ গত ১১ অক্টোবর বিকেলে ফাতেমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে যৌতুক লোভী স্বামী। ফাতেমা প্রতিবাদ করলে আলাউদ্দিন তার ছেলে আলম ও আলীম মিলে ফাতেমাকে এলােপাতাড়ী ভাবে কিল, ঘুষি, ও লাঠি দিয়ে মারধর করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নীলাফোলা জখম করে। এসময় তার ঘরে থাকা সোনা , টাকা পয়সা কেড়ে রেখে ফাতেমাকে খুন জখমের হুমকি দিয়ে ছেলে ও মেয়েসহ বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরে ফাতেমা পিতার বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরিবারের লোকজন ফাতেমাকে মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে । এখন তিনি যৌতুকলোভী স্বামীর রোষানল থেকে বাঁচতে বিভিন্ন দপ্তরে ধন্না দিচ্ছেন।
এ বিষয় মনিরামপুর থানার এস আই শাহ আলম বলেন লিখিত অভিযোগ তারা পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে তারা খোঁজখবর নিচ্ছেন।







