যশোরে ইমরুল কায়েস নামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। ইমরুল গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গঙ্গানন্দপুর গ্রামে। বাবা শহীদুল্লাহ ও মা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিন ভাইবোনের মধ্যে দ্বিতীয় ছিলেন ইমরুল।
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে যশোরে গ্রামের বাড়িতে ফ্যানের সঙ্গে রশি পেঁচিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
‘এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইমরুলের টাইমলাইনে কয়েকদিন ধরে হতাশা আর আত্মহত্যা নিয়ে পোস্ট করতে দেখা যাচ্ছিল। কয়েকদিন ধরে ‘ব্যর্থতা আত্মহত্যার মূল’, আর পরিচিত কয়েকজনের সঙ্গে ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করছিল সে।’ এমটাই জানিয়েছেন তার ফেসবুকের বন্ধুরা।
এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে জানা যায়, ইমরুল কায়েস পরাগ একজন মেধাবী ছাত্র ছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি তিনি মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। এছাড়া বিয়েও করেছেন। তার স্ত্রী বর্তমানে বাবারবাড়িতে। পরাগ তার মায়ের কাছে একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা চান। ক্যামেরা দিতে দেরি হওয়ায় তিনি মায়ের উপর অভিমান করেন। গেলরাত ১২টার দিকেও তিনি রাতের খাবার খাননি। রাত দুইটার দিকে তার মা দেখেন তিনি ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
জানতে চাইলে গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, ছেলেটা কেন যে আত্মহত্যা করেছে- তা জানতে পারিনি। তবে, সম্প্রতি সে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। তার মা একটি বেসরকারি সংস্থায় (এনজিও) চাকরি করেন। শুনেছি ছেলেটি তার মাকে একটি ক্যামেরা কিনে দিতে বলে। ক্যামেরা দিতে বিলম্ব হওয়ায় অভিমানে সে আত্মহত্যা করতে পারে।
যোগাযোগ করা হলে ঝিকরগাছা থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ঘটনা জানতে পেরে সেখানে একজন অফিসারকে পাঠানো হয়েছে।
রাতদিন সংবাদ







