প্রেমিক সহকর্মীর ওপর অভিমান করে বিষপানে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন প্রেমিকা পুলিশ সদস্য। কিন্তু, তার সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দিতে এগিয়ে আসেন প্রেমিকপ্রবর। প্রেমিকাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে সুস্থ করলেও দু’জনের আশ্রয় মিলেছে কারাগারে। আত্মহত্যার চেষ্টা আর সহায়তার দায়ে দু’জনের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। শনিবার বিকেলে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাদেরকে আটক করে পুলিশ।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মেহেরপুর পুলিশলাইনে কর্মরত নায়েক ফারজানা আক্তার যশোরে চাকরিকালীন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে আরেক নায়েক আসিফ জামানের সাথে। ফারজানার স্বামী আছে। গত ১৫ জুলাই তিনি মেহেরপুর থেকে যশোরে এসে পালবাড়িতে আসিফ জামানের সাথে দেখা করেন। এসময় তাদের মধ্যে কিছু একটা নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। এতে অভিমান করে সন্ধ্যায় দড়াটানায় ভৈরব নদের পাড়ে এসে কীটনাশক পান করেন ফারজানা। এটি তিনি আবার মোবাইলফোনে আসিফ জামানকেও জানান। প্রেমিকার এমন পরিস্থিতিতে স্থির থাকতে পারেন নি আসিফ। তিনি ঘটনাস্থলে এসে ফারজানাকে উদ্ধার করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। ভর্তি রেজিস্ট্রারে আসিফ জামান নিজেকে ফারজানা আক্তারের স্বামী উল্লেখ করেন। সেখানে চিকিৎসাসেবায় সুস্থ হয়ে ওঠেন ফারজানা। এদিকে, নারী পুলিশ সদস্যের আত্মহত্যা চেষ্টার ঘটনা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জেনে যান। বিষয়টি নিয়ে অ্যাকশনে যান তারা। আত্মহত্যা চেষ্টার অপরাধে শনিবার বিকেলে হাসপাতাল থেকে ফারজানাকে আটক করে পুলিশ। একই অপরাধে সহায়তার দায়ে আসিফ জামানকেও আটক করা হয়। তাদের দু’জনের বিরুদ্ধে যশোর কোতোয়ালী মডেল থানায় সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। রোববার দু’জনকে আদালতে সোপর্দ করা হলে অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আকরাম হোসেন কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
রাতদিন সংবাদ







