Saturday, December 6, 2025

কেশবপুরে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা

অবশেষে কেশবপুর থানায় আলোচিত কিশোর গাংয়ের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পৌর শহরের সাহাপাড়া এলাকার অলোক সাহার ছেলে অনিক সাহা বাদি হয়ে মামলাটি করেন যার নং-১৩ । শুক্রবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে চাঁদা না দেওয়ায় অনিক সাহা (২২) নামে ওই যুবককে মারপিট করে আহত করেছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। টাকার বিনিময়ে জমি দখল, ঘের দখল, পাওনা টাকা আদায়, যৌন হয়রানি, মাদক ব্যবসা ও মাদক গ্রহণ, চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তার, প্রতিপকে দেখে নেওয়ার হুমকি প্রভৃতি অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে কিশোর গাংয়ের সদস্যরা প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধির ছত্রছায়ায় থাকায় ভয়ে এ পর্যন্ত কেউ মামলা করতে সাহস পাইনি। জানা গেছে, কেশবপুর পৌরশহরের আতঙ্ক সন্ত্রাসী জামাল বাহিনী প্রধান শেখ জামাল দীর্ঘদিন ধরে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদা দাবি করে আসছে। একপর্যায়ে শুক্রবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে দোকান বন্ধ পেয়ে বাসার সামনে গিয়ে জানতে পারে অনিক সাহা প্রতিবেশির বাড়িতে শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণে খাওয়া-দাওয়া করছে। এ সময় সন্ত্রাসীরা কৌশল করে অনিককে ফোন করে বলে, দ্রুত তোমার বাড়ির সামনে আসো, একজন গুরুতর অসুস্থ লোককে রক্ত দিতে হবে। এতে অনিক ভাত ফেলে রাস্তার উপরে আসলে টাকা দাবি করে, কি কারণে টাকা দিতে হবে জানিয়ে অনিক প্রতিবাদ করলে প্রথমে তাকে কিল-ঘুষি শুরু করলে অনিক দৌড়ে প্রতিবেশি আত্মীয়ের ঘরে ওঠে। পরে সেখান থেকে ধরে এনে কিশোর গ্যাংয়ের অন্যতম সদস্য শহরের মধ্যকুল গ্রামের মকবুল হোসেন সরদারের ছেলে সাইফুল ইৃসলাম (২৫), মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে শামীম হোসেন (২২), মৃত মজিদ দফাদারের ছেলে জুয়েল দফাদার(২৫), বায়সা এলাকার মুকুল হোসেনের ছেলে মাসুদ হোসেন (২৩), উপজেলা এলাকার কামরুজ্জামানের ছেলে মাহি রহমান (২১) সহ জামাল বাহিনীর সদস্যরা তাকে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। এ হামলায় তার ডান হাত ভেঙ্গে যায়। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। স্থানীয়রা জানান, বিএনপি পরিবারের সন্তান জামাল অটো চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো। কয়েক বছর ধরে সে পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলামের আর্শিবাদপুষ্ট হয়ে সন্ত্রাসীবাহিনী গঠন করে। কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য সাইফুল ইসলাম, মাহি রহমানসহ অধিকাংশরাই বিএনপি ও জামায়াত পরিবারের সদস্য। এরাই গোটা উপজেলাব্যাপী চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করেছে। ইতোমধ্যে তাদের হাতে সাংবাদিকসহ অসংখ্য মানুষ হামলার শিকার হয়েছেন। উপজেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, কিশোর অপরাধ ও কিশোর গ্যাংয়ের যে নতুন একটি চর্চা কেশবপুরে শুরু হয়েছে, এটার পেছনে কেউ কেউ বড় ভাই হিসেবে যুক্ত থাকছে। ‘বড় ভাই’রা যদি এখনই না থামে, তবে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হবে। পরিবারগুলোকে তার সন্তানদের সঠিক পথে রাখার জন্য সতর্ক থাকতে হবে। কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বোরহান উদ্দীন বলেন, অনিক সাহার উপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামীদের আটক অভিযান অব্যহত রয়েছে।

রাতদিন সংবাদ

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর