অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধিঃ যশোরের অভয়নগরে মো. রফিকুজ্জামান ও তার স্ত্রীকে এলাকা ছেড়ে চলে না গেলে হত্যা ও লাশ গুম করার হুমকি দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৫ আগস্ট) মধ্যরাতে উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়নের বাগদাহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) চার জনের নাম উল্লেখসহ ২/৩ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে অভয়নগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন রফিকুজ্জামান। তিনি বাগদাহ গ্রামের সিরাজ মহলদারের ছেলে। অভিযুক্তরা হলেন, বাগদাহ গ্রামের জামেদ আলী মোল্যার মেয়ে রিনা পারভীন, একই গ্রামের মো. রফিকুজ্জামানের ছেলে রাকিব মহলদার, জামেদ আলী মোল্যার দুই ছেলে জাকির মোল্যা ও নাসির মোল্যা। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯৯৯ সালে মো. রফিকুজ্জামানের সঙ্গে একই গ্রামের জামেদ আলী মোল্যার মেয়ে রিনা পারভীনের বিয়ে হয়। এরপর তাদের ঘরে একটি পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। নাম রাখা হয় রাকিব মহলদার। বর্তমানে সে সেনাবাহিনীতে কর্মরত আছে। পারিবারিক কলহের কারণে রফিকুজ্জামান তার স্ত্রী রিনা পারভীনকে মৌখিক তালাক দেন। পরবর্তীতে রফিকুজ্জামান হিল্লা বিবাহ করতে চাইলে রিনা পারভীন রাজি না হয়ে তার বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা করেন। আদালতের মাধ্যমে উভয়ের মধ্যে আইনি তালাক কার্যকর করা হয়। গত রোজার সময় রাকিব মহলদার সুকৌশলে রফিকুজ্জামানের পিতা সিরাজ মহলদারকে ফুসলিয়ে সমস্ত জমি নিজের নামে লিখে নেয়। জন্মদাতা পিতা হিসেবে রফিকুজ্জামান তার ছেলে রাকিবের কাছে জমি লিখে নেওয়ার বিষয়ে কথা বললে সবকিছু ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেয় সে। গত ২৪ আগস্ট সার্বিক বিষয়ে সমঝোতার চেষ্টা করা হলে রাকিব বাধা প্রদান করে এবং কিছু শর্ত মেনে নেওয়ার জন্য চাপ দেয়। এরই জের ধরে ২৫ আগস্ট বুধবার আনুমানিক রাত সাড়ে ১২ টার সময় রাকিব মহলদার, জামেদ আলী মোল্যার দুই ছেলে জাকির মোল্যা ও নাসির মোল্যা মো. রফিকুজ্জামানকে বাড়ির পাশে রাস্তায় আসতে বলে। রাস্তায় পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা তিনজন মুখোশধারী আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে স্ত্রীসহ মো. রফিকুজ্জামানকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে ভয়ভীতি দেখায়। না গেলে দুই জনের লাশ কেউ খুঁজে পাবে না বলে হুমকি প্রদান করে। চরম আতঙ্কের মধ্যে থাকা মো. রফিকুজ্জামান ও তার স্ত্রী জীবন বাঁচাতে অভয়নগর থানায় আইনগত সহায়তা পেতে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান গাজীপুর পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই মিরাজুল ইসলাম।







