জাতীয় শোক দিবসের খিচুড়ি বিতরণকে কেন্দ্র করে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের ক্ষুরের আাঘাতে আব্দুল মান্নান (৩৪) নামে এক যুবক মারা গেছেন। রোববার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের কাশিডাঙ্গা বাজার সংলগ্ন এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল মান্নান কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের আলী বকসের ছেলে। এসময় বাবু ও রবিউল নামে দুই ব্যক্তি আহত হন।
এলাকাবাসী জানায়, গত শনিবার (২১ আগস্ট) স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎবার্ষিকী পালন শেষে ওই এলাকার লোকজন ভোজের আয়োজন করে। খিচুড়ি বিতরণকে কেন্দ্র করে আব্দুল মান্নান ও ওই গ্রামের মজিবরের ছেলে হানিফের সাথে কথা কাটাকাটির জের ধরে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনায় ওই সময়ই স্থানীয় নেতৃবৃন্দ তাদের উভয়কে ডেকে মীমাংসা করে দেন। তারপরেও হানিফের রাগ কমেনি। এরই জের ধরে রোববার (২২ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে স্থানীয় ইউপি মেম্বর প্রার্থী কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের নুর শেখের ছেলে হাফিজুর রহমান মিটমাট করে দিবে বলে আব্দুল মান্নানকে ডাকেন। তারা দেয়াড়া কাশিয়াডাঙ্গা বাজার সংলগ্ন এলাকায় বসেন। এ সময় উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হানিফ উত্তেজিত হয়ে আব্দুল মান্নানকে ক্ষুর দিয়ে পেটে আঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন। এ সময় ঠেকাতে গিয়ে হযরত সানার ছেলে বাবু ও রবিউল নামে দুই জন আহত হন।
গুরুতর আহত অবস্থায় মান্নানকে যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পর বর্তমান এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।
নিহত আব্দুল মান্নানের বাবা আলী বক্স বলেন, রোববার রাতে মিটমটি করে দেবে বলে আমার ছেলেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে মুজিবরের ছেলে হানিফ আমার ছেলেকে পেটে ক্ষুর মেরে ভুড়ি বের করে দেয়।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মীর খায়রুল কবীর ওই যুবকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ রিপোট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান।
অনলাইন ডেস্ক







