যশোরের অভয়নগরে নও-মুসলিম সাবেক স্বামী গোলাম রসুলের (মধু সাহা) বিরুদ্ধে গৃহবধূ সাবিনাসহ তার মা-বাবা ও আত্মীয়-স্বজনকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন।
হুমকি- নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে বুধবার ১৮ আগস্ট তিনি গোলাম রসুলের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সাবিনা বেগম অভয়নগর উপজেলার গোপিনাথপুর গ্রামের সাহেব আলীর মেয়ে। নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) তিনি তার স্বামীকে তালাক দেন।
বুধবার দুপুরে অভয়নগর প্রেসক্লাবে লিখিত বক্তব্যে সাবিনা বেগম বলেন, ২০০৬ সালে বাগেরহাট সদরের নওয়াপাড়া গ্রামের সুনিল সাহার ছেলে মধু সাহা ওরফে গোলাম রসুলের সাথে তার প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিছুদিনপর তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের আগে মধু সাহা এফিডেভিট করে ইসলাম ধর্মগ্রহণ করে গোলাম রসুল নাম প্রাপ্ত হন। বর্তমানে তাদের তাসমিয়া (১২) ও মুছা (৩) নামে দুই সন্তান রয়েছে।
সাবিনা বলেন, এর আগে গোলাম রসুল একাধিকবার বিয়ে করে তাদের কাছ থেকে সর্বস্ব লুট করে ছেড়ে দেয়। এরপর ২০১২ সালে তিনি অতিষ্ট হয়ে স্বামীকে নিয়ে ঢাকায় গিয়ে চারবছর দুইজনে চাকরি করে বাড়ি ফিরে মা-বাবার কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে নওয়াপাড়া বাজারে একটি বাড়ি করেন। কিন্তু ঝামেলা থাকায় ওই বাড়ি চার লাখ টাকায় বিক্রি করেন যার অর্ধেক গোলাম রসুল ব্যাংকে রাখার নামে হাপিস করেন। বাকি দুই লাখ টাকা নেওয়ার জন্য নানাভাবে হয়রানি ও তার উপর শারীরিক নির্যাতন চালান। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে স্বজনদের পরামর্শে তিনি গত ১২ আগস্ট স্বামীকে তালাক দেন। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে গত কয়েকদিন মোবাইলফোনে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে অঅসছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মা-বাবার সাথে নওয়াপাড়া হতে বাড়ি ফেরার পথে মোটর সাইকেল স্ট্যান্ডে তাদের দেখে গোলাম রসুল গালিগালাজ করে ও পিতামাতাসহ তার দুই ভগ্নিপতিকে প্রাণনাশের হুমকি দেন।
তার আশংকা, ভবিষ্যতে গোলাম রসুল তার সন্তানসহ আত্মীয়-স্বজনদের ক্ষতি করতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তার পিতা সাহেব আলী, মা সবুরোননেছা, ভগ্নিপতি মাহাবুর মোল্যা ও ভাগ্নে লুৎফর রহমান।
রাতদিন সংবাদ







