নড়াইলে বাদী নিজেই ভঙ্গ করলেন ১৪৪ ধারা সৈয়দ নাইমুর রহমান ফিরোজ, নড়াইল প্রতিনিধিঃ নড়াইলে আদালতের ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করলেন মামলার বাদী মোঃ আরজ আলী মোল্যা। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার নড়াগাতির থানার জয়নগর ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে। জানা গেছে, গত ১৯ জুলাই আদালত কেশবপুর মৌজার বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিদ্দিকুর রহমান চৌধূরীর ১৮ শতক জমির উপর স্থিতি অবস্থা বিরাজমান রেখে ১৪৪ ধারা জারি করেন। যে কারনে জয়নগর ইউনিয়নের উপ-সহকারী ভ’মি কর্মকর্তা (তহশিলদার) মোঃ ইদ্রিস আলী গত ৯ আগস্ট সরেজমিনে যান। সরেজমিনে গিয়ে তিনি দেখেন বাদী কেশবপুর গ্রামের মৃত আমিন মোল্যার ছেলে মোঃ আরজ আলী মোল্য আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে উক্ত জমিতে একটি বাঁশের চালা তৈরি করেছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিদ্দিকুর রহমান চৌধূরী জানান, গত ১৯৯১ সালের ৬ জুলাই কেশবপুর গ্রামের রাজেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের নিকট থেকে বর্তমান কেশবপুর মৌজার ৪০ নং বিআরএস খতিয়ানের ২১২ হাল দাগের ১৮ শতক জমি ক্রয় করে খাজনা পরিশোধ করে ভোগ দখল করে আসছেন। তাঁর সন্তানেরা ঢাকায় চাকুরী করেন বিধায় তিনি ও তারর স্ত্রী ঢাকায় বসবাস করেন। বাড়িতে না থাকার সুযোগে মোঃ আরজ আলী মোল্যা উক্ত জমি দখল করার ষড়যন্ত্র করছে এবং উক্ত জমির উপর গত ৮ আগস্ট একচালা গর তুলে দখল করার পায়তারা করে। অথচ আরজ আলী নিজেই বাদী হয়ে গত মাসের ১৯ জুলাই আদালতের শরনাপন্ন হয়ে উক্ত জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করান। জমির ওপর বাশেঁর একচালা তৈরি প্রসঙ্গে নড়াগাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মোঃ ইকরাম হোসেন বলেন, মোঃ আরজ আলী মোল্যা গত ৮ আগস্ট বিজ্ঞ আদালতের ১৪৪ ধারা অমান্য করে বাশেঁর ঘর তৈরি করতে গেলে আমরা খবর পেয়ে বাধা দিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। বাদী মোঃ আরজ আলী মোল্যা বলেন, এখানে আমার ৩৬ শতক জমি আছে এবং আমি ভোগ দখল করে আসছি। এ বিষয়ে জয়নগর ইউনিয়নের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (তহশিলদার) মোঃ ইদ্রিস আলী বলেন, আদালতের নির্দেশে সরেজমিন দেখতে এসেছি এবং সত্য ঘটনা আদালতকে জানাবো। এ বিষয়ে কালিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন, জোর পূর্বক বাশেঁর একচালা বা ঘর তৈরি করলেই জমির দখলকারী বা মালিক বলে ধরে নেওয়া যায়না। কাগজপত্র ও সংশ্লিষ্ট সকল বিষয় যাচাই বাছাই করেই এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।







