চৌগাছায় ইউটিউবার কবির সামাদের বিরুদ্ধে ২ট্রাক ইট ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত কবির বিন সামাদ যশোরের ঝিকরগাচার গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়নের নবগ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মৃত মাওলানা আব্দুস সামাদের পুত্র। এছাড়াও তিনি ফেইসবুক ভিত্তিক পেজ ‘ঠিকানা টিভি’র পরিচালক ও কৌতুকাভিনেতা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (২৮ জুলাই) সকাল আনুমানিক ১০ টার দিকে যশোরের চৌগাছার কমলাপুর মোড়ে অবস্থিত এইচ এম ব্রিকস নামে একটি ইটভাটায় কবির বিন সামাদ দুটি মাইক্রোবাসে মানবাধিকার কমিশনের স্টিকার লাগিয়ে যায়। সেসময় তিনি ও তার সঙ্গে থাকা লোকজন নিজেদেরকে সাংবাদিক ও ডিবির সদস্য পরিচয় দিয়ে দুই গাড়ি ইট ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা ইটভাটার ম্যানেজার সবুজ হোসেন জরুরি পরিষেবা ‘৯৯৯’- এ কল করলে চৌগাছা থানা পুলিশের সদস্যরা অবৈধভাবে নেয়া দুই ট্রাক ইট উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ইটভাটার মালিকের ভাগ্নে ও ম্যানেজার সবুজ হোসেন বলেন, ‘সকাল ১০ টার দিকে কবির বিন সামাদ ও তার সঙ্গীয় লোকজন এসে আমাদের কাছে সাংবাদিক ও ডিবির লোক পরিচয় দেয়। কারো কোনো কথা না শুনে তারা জোর করে দুই গাড়ি ইট ছিনতাই করে চলে যেতে থাকে। তখন আমি ৯৯৯-এ কল করি। তারা আমাকে চৌগাছা থানা পুলিশের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেয়, আমি ঘটনা খুলে বলার পর পুলিশ সদস্যরা এসে দুই গাড়ি ইট থানায় নিয়ে যায়। তার কিছুক্ষণ পরই কবির বিন সামাদকে থানায় নিয়ে আসা হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমি কবির বিন সামাদকে চিনতাম না। তিনি নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়েছিলেন। পরে জানতে পারি তিনি ফেইসবুকে কৌতুক আর ইসলামিক বক্তব্য দিয়ে ভিডিও ছাড়ে।’
এ ব্যাপারে ইটভাটার মালিক গোলাম রসুল বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি যশোরে ছিলাম। ডিবি ও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আমার ভাটা থেকে ইট ছিনতাইয়ের খবর পেয়ে আমি দ্রুত চলে আসি। আমার সামনেই সাংবাদিক পরিচয় দেয়া কবির বিন সামাদ ও সাইফুল নামের এক ব্যক্তিকে থানায় ডাকা হয়। পরে ওসি স্যারের সঙ্গে কথা বলার পর তারা চলে যায়।’
তিনি আরো বলেন, ‘ভাটার মালিকানা নিয়ে আমাদের সাথে মাহবুর নামের এক ব্যক্তির বিরোধ রয়েছে। ঐ ভুয়া ডিবি আর সাংবাদিকদের সে ভাড়া করে পাঠিয়ে থাকতে পারে।’
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন জানিয়ে গোলাম রসুল বলেন, ‘অবশ্যই আমি এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেবো। তারা দিনে দুপুরে গাড়ি এনে প্রভাব খাটিয়ে আমার ভাটা থেকে ইট ছিনতাই করেছে। এটা আইনত অপরাধ।’
এবিষয়ে অভিযুক্ত কবির বিন সামাদের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তার ব্যবহৃত নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে চৌগাছার একটি মাদরাসার অধ্যক্ষের সাথে মুঠোফোনে তিনি ওই ভাটায় যাবার বিষয় স্বীকার করেন। অধ্যক্ষকে তিনি বলেন, ‘আমি সেখানে গিয়েছিলাম। তবে আমাকে ভুল বুঝিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।’
এ ব্যাপারে চৌগাছা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে। ইট থানা হেফাজতে আছে। আগামী ৬ আগস্ট দুই পক্ষের থানায় বসার কথা আছে।’
বিশেষ প্রতিনিধি







