আফজাল হোসেন চাঁদ : মহমারী করোনা ভাইরাসের ক্রমাগতই চলছে লকডাউন। আর এই লকডাউনের মধ্যেই দেধারসে চলছে জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার কার্যক্রম আর এই কার্যক্রমের বলি হচ্ছে এলাকার সাধারণ মানুষ। সরকারি ভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা থাকলেও মানতে নারাজ কর্তৃপক্ষ। ঠিকমত খেতে না পারলেও অন্যের নিকট গিয়ে হাত পেতে টাকা নিয়ে বা ধার করে মিটাতে হচ্ছে ঋণ। মহামারীর মধ্যে প্রতিষ্ঠানের পক্ষে তাদের গ্রাহক বা সদস্যেদের সহযোগিতা তো করছেই না অন্যদিকে কিস্তির টাকার জন্য চাপ দিচ্ছেন। করোনাকালীন সময়ে কোন গ্রাহক বা সদস্যেদের কিস্তির টাকা দিতে দেরি হলেই শুরু হয় ম্যানেজারের ফোনের মাধ্যমে কলের অত্যাচার। সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে কিস্তি আদায়ের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মানছে না কর্তৃপক্ষ। করেনাকালীন সময়ে কিস্তি নেওয়া বন্ধের বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সাধারণ মানুষ।
হাজেরালী গ্রামের গ্রাহক বা সদস্যে তানজিলা আক্তার। তিনি জানান ,তার স্বামী সম্প্রতি বিদেশে গিয়েছেন। কিন্তু করোনার কারণে তার কাজ বন্ধ রয়েছে ।বিষয়টি কোনো ভাবেই বুঝাতে পারছেন না ম্যানেজারকে।
ম্যানেজার তাকে একেরপর এক ফোনে কল দিয়ে যাচ্ছে। বাড়িতে লোক পাঠানো হচ্ছে কিস্তি নিতে।
সরেজমিনে সোমবার (২৬ জুলাই) জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের ঝিকরগাছা অফিসে যেয়ে দেখা যায় কর্মকর্তারা কাজ করছেন। তাদের মুখে নেই মাস্ক। এমনকি সেখানে গ্রাহক বা সদস্যদের দেখা যায় তাদের মুখেও ছিলোনা মাস্ক। এ বিষয়ে জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের ম্যানেজার সুব্রত বাঘচি বলেন, তাদের কিস্তি নেয়া বন্ধ আছে। তবে কেউ যদি স্বেচ্ছাই অফিসে এসে দেন তাহলে নিচ্ছেন। গ্রাহক বা সদস্যেদের নিকট ফোন দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, টাকার জন্য ফোন করিনা। তাদের খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য ফোন করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুল হক বলেন, করোনাকালীন সময়ে কিস্তি আদায় করা নিষেধ। করোনাকালীন লকডাউনের বিধিনিষেধে উল্লেখ আছে, একজন ব্যক্তি আর একজনের বাড়িতে যেতে পারবে না। বিষয়টি তিনি গুরুত্বের সাথে নিবেন বেলে জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুল হক বলেন, করোনাকালীন সময়ে কিস্তি আদায় করা নিষেধ। করোনাকালীন লকডাউনের বিধিনিষেধে উল্লেখ আছে, একজন ব্যক্তি আর একজনের বাড়িতে যেতে পারবে না। বিষয়টি তিনি গুরুত্বের সাথে নিবেন বেলে জানান।







