শফিয়ার রহমান, মণিরামপুর ঃ সামান্য বৃষ্টি হলেই মণিরামপুর সদর ইউনিয়নের হাজরাকাটি গ্রামের প্রধান সড়কটি জলাবদ্ধতায় সৃষ্টি হয়। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই এলাকার চলাচলের প্রধান সড়কটি প্রায় ৩০০ মিটার রাস্তায় পানি জমে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। ফলে শতাধিক পরিবারের লোকজন এ রাস্তায় চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় ও সড়কটি নিচু হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে এ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, দিন মজুর সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের। কিন্তু তা দেখার যেন কেউ নেই। এলাকাবাসি দীর্ঘদিন প্রতিকারের জন্য বিভিন্ন মহলে ধর্ণা দিয়েও কোন প্রতিকার পাইনি।
সোমবার দুপুরে সরেজমিন খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, মণিরামপুর সদর ইউনিয়নের ৬নং-হাজরাকাটি ওয়ার্ডের উত্তর পাড়া এলাকাবাসির চলাচলের প্রধান সড়কটি যশোর-সাতক্ষীরা সড়কের মোলাম মিয়ার বটতলা থেকে পশ্চিম দিকে গ্রামের মধ্য দিয়ে খালকান্দা-ইউনিয়ন পরিষদ সড়কের সাথে মিলিত হয়েছে। মোলাম মিয়ার বটতলা থেকে মাত্র ১’শ মিটার দুরে এ সড়ক সংলগ্ন হাজরাকাটি মাঝপাড়া বটতলা জামে মসজিদ অবস্থিত। ঠিক এ মসজিদের কাছেই সড়কের এ বেহাল অবস্থা বিদ্যমান। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই এ মসজিদের সামনেসহ সড়কের প্রায় ৩০০ মিটার রাস্তায় পানি জমে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। যে কারণে এলাকাবাসিসহ মসজিদে আগত মুসাল্লিদের সমস্যার সীমা নেই।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বর্তমান সরকারের আমলে রাস্তাঘাটসহ মণিরামপুরে ব্যাপক উন্নয়ন হলেও সদর ইউনিয়নের ৬নং-(হাজরাকাটি) ওয়ার্ডে উন্নয়নের কোন ছোঁয়া লাগেনি। এলাকায় কোনো দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়নি। অথচ এ এলাকাটি মণিরামপুর পৌরশহর সংলগ্ন। পৌরশহরের সীমানা থেকে এ ওয়ার্ডের এলাকা শুরু হয়েছে। অথচ আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ এ জলাবদ্ধতা সমস্যায় ভুগছি। এখানে কোনো প্রকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। কর্তৃপক্ষের কোনো প্রকার সুদৃষ্টি নেই এই এলাকার মানুষের জন্য। তারা বৃষ্টির পর দ্রুত পানি নিষ্কাশন চায়। এ সমস্যা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেন এলাকাবাসী।
শিক্ষক রবিউল ইসলাম আক্ষেপ করে বলেন, এ এলাকার সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় হাটু পর্যন্ত পানি জমে আমাদের চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। তাছাড়া ময়লা পানির ভিতর দিয়ে মসজিদের প্রবেশ করতে হয়-যেটা আমাদের কাম্য নয়।
হাজরাকাটি মাঝপাড়া বটতলা জামে মসজিদের সম্পাদক আক্তারুজামান বলেন, কত নেতা আসে যায়- কিন্তু আমাদের এ সমস্যার সমাধান হয়না। ভোটের আগে নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা কত কথা বলে, কিন্তু পরে কেউ কোনো খোঁজখবর নেয় না। আমরা এ জলাবদ্ধতার লাঘবের জন্য বিভিন্ন মহলে অনেক চেষ্টা করেছি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নিস্তার ফারুক জানান, পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও কালভার্ট প্রয়োজন ছিল। আমি সেখানে ৬০ হাজার টাকা বারাদ্দ দিয়ে যথাযথভাবে কালভার্ট নির্মাণ করে দিয়েছি, কিন্তু স্থানীয় অধিবাসিরা ড্রেনেজ নির্মাণের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা না দেয়ায় সেটা করা সম্ভব হয়নি। তবে ওই এলাকার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা যাতে দ্রুত সমাধান করা যায়-এলাকাবাসির সঙ্গে আলোচনা করে তা সমাধান করা হবে।
মণিরামপুরের হাজরাকাটি গ্রামের প্রধান সড়কটি বৃষ্টি হলেই জলবদ্ধতা সৃষ্টি, ভোগান্তী
- Advertisement -
- Advertisement -