ঘরের মাঠে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে হোয়াটওয়াশের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথম ম্যাচে হারের স্বাদ পেয়েছিল জিম্বাবুয়ে। প্রথম দুই ফরমেটে না পারলেও টি-টোয়েন্টি সিরিজে এসে প্রথম জয়ের দেখা পেল স্বাগতিকরা।প্রথম টি-২০ ম্যাচে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে সিরিজে সমতায় ফিরেছে জিম্বাবুয়ে। সফরকারিদের ২৩ রানে হারিয়েছে স্বাগতিকরা।টস জিতে হারারেতে বাংলাদেশকে ১৬৭ রানের টার্গেট দিয়েছে জিম্বাবুয়ে। আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৬৬ রান সংগ্রহ করে তারা।ওপেনিংয়ে নেমে ৫৭ বলে ৭৩ রানের দারুণ ইনিংস উপহার দেন ওয়েসলি মাদেভেরে। ৩ ছক্কা আর ৫চারে মাদেভেরে সাজান তার আক্রমণাত্মক ইনিংস। ১৮ তম ওভারে তাকে ফেরান শরিফুল ইসলাম।সাকিবের বলে ১৪ রানে রেগিস চাকাবভা ফেরেন। ২৬ রানে শরিফুলের বলে সাজঘরে ফেরেন ডিওন মায়ার্স ও ৪ রানে রান আউট হয়ে ফেরেন অধিনায়ক সিকান্দার রাজা।শেষ দিকে ম্যাচের গতি ঠিক রাখেন রায়ান বার্ল। ১৯ বলে ৩৪ রানের ছোট কিন্তু কার্যকরী ইনিংস উপহার দেন এই ব্যাটসম্যান। ইনিংসের শেষ বলে শরিফুলের বলে ধরা দিয়ে ফেরেন বার্ল।বাংলাদেশের হয়ে ৩৩ রানে ৩ উইকেট নেন শরিফুল। মাহেদি হাসান ও সাকিব আল হাসান পান ১টি করে। টার্গেটে নেমে ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।১১ ওভারেই টপ অর্ডারের ছয় ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে চাপে সফরকারীরা।আগের ম্যাচে দুই ফিফটিতে বাংলাদেশকে জয় উপহার দেয়া নাইম ও সৌম্য সাজঘরে ফেরেন দ্রুত। এরপরে দ্রুত ফেরেন পরিক্ষীত সাকিব আল হাসান ও অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও।মুজারাবানির বলে ধরা দিয়ে ৫ রানে সাজঘরে ফেরেন নাইম, একই ওভারে ৮ রান করে ফেরেন সৌম্য। ১০ বলে ১২ রানে স্পিনার মাসাকাদজার বলে ধরা দিয়ে ফেরেন সাকিব। আর একইভাবে ৪ রান করে ক্যাচ তুলে ফেরেন রিয়াদও।পরে ছয় মারতে গিয়ে মুসাকান্দার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মেহেদী হাসান। ফেরার আগে ১৯ বলে ১৫ করেন মেহেদী।নুরুল হাসান সোহান আউট হন ৯ রান করে। পরে অভিষিক্ত শামীম ১৩ বলের ২৯ রানের ঝড়ো ইনিংস কিছুটা আশা জোগালেও তার বিদায়ের পর আর আশা থাকেনি টাইগারদের।সাইফুদ্দিন ফেরেন ১৫ বলে ১৯ রানে। এক বল বাকী থাকতে অলআউট হলে ২৩ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জিম্বাবুয়ে।এ জয়ে সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতা আনল স্বাগতিকরা। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচটি এই দুই দল খেলবে আগামী রোববার।
অনলাইন ডেস্ক







