নিহত রিমা খাতুন উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বেড়কালুয়া গ্রামের রেজাউল ইসলামের মেয়ে। সে বেড়াকালুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। গত ১০ দিন আগে জোড়ারপুর গ্রামের খোকনের ছেলে দিনমজুর পিয়াসের সঙ্গে রিমার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়।
শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি, রিমা পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা করেছেন। তবে রিমাকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন নিহত রিমার স্বজনরা।
নিহতের বাবা রেজাউল বলেন, মাত্র ১০ দিন আগে পিয়াসের সঙ্গে রিমার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। রিমার এর আগেও একটা বিয়ে হয়েছিল। পূর্বের বিয়ে নিয়ে পরিবারে অশান্তি ছিল। রিমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন রিমাকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখে।
নিহত রিমার শ্বশুর খোকন আলী বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে রিমা আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু রিমার বাবার বাড়ির লোকজন আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।
কুমারখালী থানার ওসি মজিবুর রহমান, কিশোরী বধূ রিমা খাতুনের ঝুলন্ত মরদেহ তার শ্বশুর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।







