বাবার জমি থেকে বঞ্চিত করে অবৈধ ভাবে দখলে নেয়ার অভিযোগে বিপুলের বিরুদ্ধে বোনদের সংবাদ সম্মেলনের পর এবার বিপুলের পক্ষনিয়ে মানববন্ধন করেছে মা। মানববন্ধনে নিজের জামাই সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমির হোসেনকে অভিযুক্ত করেছেন তিনি। আমিরই ওই দুই বোনকে ইন্দন দিয়ে এ ধরণের মানহানীকর কাজকর্ম করাচ্ছে বলে অভিযোগ মায়ের। মঙ্গলবার দুপুরে শহরের শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা দৌলত বিশ্বাস চত্বরে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
মানববন্ধন চলাকালে পৌরসভার সাবেক সংরক্ষিত কাউন্সিলর শাহিদা সিদ্দিকী বলেন, তার ছেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌরসভার পরপর তিনবারের কাউন্সিলর শেখ এবাদত সিদ্দিক বিপুলের সঙ্গে জামাতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এইচ এম আমির হোসেনের পারিবারিক জমিজমা নিয়ে মামলাসহ রাজনৈতিক বিরোধ চলছে। তার ছেলের কেনা জমি নিজেদের দাবি করে জামাতার ইন্ধনে মেয়েরা লোকজন নিয়ে দখলের চেষ্টা করছেন। যে কারণে কেশবপুর সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা করেন। যার নম্বর-১৫৩/২১। ওই জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও তারা ওই জমি দখলের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে যে কোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে।
শাহিদা সিদ্দিকী আরও অভিযোগ করেন, বিপুলের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি, ভুয়া তথ্য প্রদান করে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগসহ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সম্মানহানীর চক্রান্ত করা হচ্ছে।
মানববন্ধনে আরও বক্তৃতা করেন, পৌর শহরের বালিয়াডাঙ্গা এলাকার আছিরন বেগম, সালমা বেগম, রোজিনা খাতুন এবং আনোয়ারা বেগম। মানবন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এ ব্যাপারে এইচ এম আমীর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘শাহিদা সিদ্দিকী নামে আমি কোনো মহিলাকে চিনি না। তিনি আমার শাশুড়ি নন’।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম আরাফাত হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপিটি পেয়েই জেলা প্রশাসক বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে’।
বিশেষ প্রতিনিধি







