সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : ২০০ টাকার জন্য ঘরে ঢুকে নিজের বন্ধুকে ধারালো ছুরি দিয়ে গলাকেটে হত্যা করে অপর বন্ধু। পুলিশ হত্যাকারী সাগর হোসেনকে গ্রেফতার করেছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা শহরতলীর কাশেমপুর মালিপাড়া এলাকায় নিজ ঘর থেকে সালাহউদ্দীনের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সালাহউদ্দীন আহমেদ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কাশেমপুর মালিপাড়া গ্রামের শাহজান আলী বাবু সরদারের ছেলে। হত্যাকারী সাগর হোসেন সাতক্ষীরা শহরের রসুলপুর এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে।
সাতক্ষীরার গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক ইয়াসিন আলম চৌধুরী জানান, ঘাতক সাগর হোসেনকে শনিবার বিকেলে লাশ উদ্ধারের তিন ঘন্টার মধ্যে শহরের পলাশপোলের সরকারি গোরস্থানের কাছ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শহরতলির লাবসা বাইপাসের কাছে একটি গ্যারেজ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। তার দেয়া জবানবন্দি অনুযায়ী শুক্রবার রাত ৩ টায় সে তার বন্ধু সালাউদ্দিনকে হত্যা করে।
জবানবন্দিতে তিনি আরো বলেন, সালাউদ্দিনের কাছে গাঁজা কিনবার জন্য ২০০ টাকা দিয়েছিল সাগর। কিন্তু সালাউদ্দিন গাঁজা কিংবা টাকা কোনোটাই ফেরত না দেয়ায় সে তাকে খুন করেছে।
নিহতের বোন রীতামনি বলেন, সাগর ও সালাউদ্দীন সবসময় একসঙ্গে ঘোরাঘুরি করতো। ঘটনার রাতেও তারা দু’জন একই রুমে ছিলো। প্রতিবেশি অনেকেই তা দেখেছে। দুপুরে পুলিশ যখন তার ভাই সালাউদ্দীনের মরদেহ উদ্ধার করে, তখন বাইরে থেকে তালা মারা ছিল।
তবে এলাকার অনেকেই জানিয়েছেন, সাগর ও সালাউদ্দীন মাদক চোরাচালান ও সেবনের সঙ্গে জড়িত। তাদের নেতৃত্বে এলাকায় একটা কিশোর গ্যাং গড়ে উঠেছে। যারা বিভিন্ন সময় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে বেড়ায়। এছাড়া সালাউদ্দীনের বাবা বাবু সরদারও চিহিৃত একজন মাদক ব্যবসায়ী।
সাতক্ষীরা অতিরিক্ত এসপি (সদর সার্কেল) শামসুল হক শামস্ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ নিহত সালাউদ্দীনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। তাকে গলা কাটা অবস্থায় পাওয়া গেছে। পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি উদ্ধার করেছে। পুলিশ হত্যাকারী সাগর হোসেনকে গ্রেফতার করেছে। বিকেলে শহরের রসুলপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সিটি কলেজ এলাকায় কিশোর গ্যাং গড়ে উঠার বিষয়ে অতিরিক্ত এসপি জানান, ওই এলাকায় একটি কিশোর গ্যাং গড়ে উঠেছে বলে শোনা যাচ্ছে। সালাউদ্দীন হত্যাকাণ্ডে বিষয়টি সামনে এসেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।







