Friday, December 5, 2025

নড়াইল সদর হাসপাতালের ৭০ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় মানববন্ধন 

সৈয়দ নাইমুর রহমান ফিরোজ, নড়াইল প্রতিনিধিঃ নড়াইল সদর হাসপাতালের ইউজার ফি-এর ৭০ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা না দেওয়ার ঘটনায় সঠিক তদন্ত করে  দোষিদের বিরুদ্ধে মামলা ও শাস্তির দাবিতে ছাত্রলীগ মানববন্ধন করেছে। শনিবার (১০ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে সদর হাসপাতালের সামনে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। 

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিলয় রায় বাধন, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মিঠুন বিশ্বাস রাজু ও সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধার্থ সিংহ পল্টু। পরে শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। 

মানববন্ধনে বক্তরা বলেছেন, বর্তমান এবং পূর্বের হিসাবরক্ষক ইউজার ফি-এর ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা জমা না দিয়ে সরকারি অর্থ লুটপাট করেছেন।  এ ঘটনার সাথে তারা ছাড়া যদি অন্য কেউ জড়িত থাকে তাহলে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। 

এদিকে ৭০ লাখ টাকা আত্মসাতের বিষয়টি দুদক মামলা করতে পারে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নাজমুস সাদাত জানান, ইতিপূর্বে সদর হাসপাতালে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকার ইউজার ফি আত্মসাতের ঘটনায় পূর্বের হিসাব রক্ষকের বিরুদ্ধে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। নতুন করে ৭০ লাখ টাকা আত্মসাতের বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত। অভিযোগ পেলে দুদক অবশ্যই মামলা করবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জাহান আরা খানম লাকি ২০১৯ সালের ১৮ জুলাই নড়াইল সদর হাসপাতালে হিসাবরক্ষক হিসেবে যোগদানের পর থেকে গত মার্চ মাস পর্যন্ত ২১ মাসের  হাসপাতালের রোগি ভর্তি ফি, ওটি চার্জ, চিকিৎসা ফি, প্যাথলজি, অ্যাম্বুলেন্স, কেবিন ফিসহ বিভিন্ন খাতের ৭০ লাখ টাকা সোনালী ব্যাংকে জমা দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তা দেননি।

জানা গেছে, এ বিষয়টি তদন্তের জন্য বুধবার (৭ এপ্রিল) সদর হাসপাতালের সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. আকরাম হোসাইনকে আহবায়ক এবং আর.এম.ও ডাঃ আ.ফ.ম মশিউর রহমান বাবুকে সদস্য সচিব করে ৫ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। আগামি ৭ দিনের মধ্যে এ তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার কথা। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) থেকে হাসপাতালের হিসাব রক্ষককে স্টেশন ত্যাগ করতে নিষেধ করা হয়েছে এবং তার দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

অভিযুক্ত হিসাবরক্ষক জাহান আরা খানম লাকি এ প্রতিনিধিকে বলেছেন, রোববার (১১ এপ্রিল) তার কাছে থাকা ৩ মাসের ইউজার ফি-এর টাকা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বাকি মাসের টাকার হিসাব তার কাছে নেই। এটা তত্ত¡াবধায়ক স্যার বলতে পারবেন।

সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. আব্দুর শাকুর নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, গত ৬ এপ্রিল হিসাবরক্ষকের কাছ থেকে ইউজার ফি জমা দেওয়ার চালান নিয়ে নড়াইল সোনালী ব্যাংক প্রধান শাখায় যাই, তখন ম্যানেজার জানান এসব চালান জাল। ব্যাংকে কোনো টাকা জমা পড়েনি। তিনি তদন্ত প্রতিবেদন এখনও জমা হয়নি বলে জানান। 

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর