Saturday, December 6, 2025

কঠোর অবস্থানে পুলিশঃ প্রতি কেন্দ্রে থাকছে ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে ২৮ সদস্য

যশোর পৌরসভা নির্বাচন ঘিরে কঠোর অবস্থানে রয়েছে যশোরের পুলিশ প্রশাসন। ৩০ মার্চ সন্ধার পর থেকে তাদের তৎপরতা আরো বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। রাত ১০ টা বাজতেই গোটা শহর ফাঁকা হয়ে যেতে দেখা যায়। জনসাধারণ শুন্য রাস্তায় মোড়ে মোড়ে পুলিশের উপস্থিতি আর একের পর এক পুলিশের টহলে যেন পুলিশের নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখা হয়েছে পুরো শহর। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলা নির্বাচনী কার্যক্রম সুষ্ঠু ও অবাধ করার পরিবেশ তৈরি করতে মঙ্গলবার থেকে জেলা পুলিশের এক হাজার দুশ’ সদস্য, চারশ’ ৫৫ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। প্রতি কেন্দ্রে জেলা বিশেষ শাখার একজন সদস্য, একজন করে ইন্সপেক্টর, একজন সাব ইন্সপেক্টর, ১৬ জন কনস্টেবল এবং নয়জন করে আনসার সদস্য কাজ করছেন। নির্বাচনী মাঠে চূড়ান্ত নিরাপত্তায় জেলা বিশেষ শাখার সমন্বয়ে দায়িত্ব বন্টন করা হয়েছে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন  বিশেষ শাখার ডিআইও ওয়ান এম মশিউর রহমান। তিনি আরো জানান, নির্বাচনী এলাকায় প্রতি ওয়ার্ডে একটি করে স্ট্রাইকিং টিম, একটি করে মোবাইল টিম কাজ করছে। একজন এডিশনাল এসপির নেতৃত্বে দু’টি ওয়ার্ড মিলিয়ে একটি শক্তিশালী টিম রাখা হয়েছে আইনশৃংখলা তদারকিতে। সব মিলিয়ে যশোর পৌর নির্বাচনে চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় রাখা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা সমুন্নত রাখতে ও অনাকাঙ্খিত সংঘাত এড়াতে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার আরও কয়েকটি ইউনিটের সদস্যরা টহলে রয়েছেন। আজ নির্বাচনের দিন ও পরের দিন কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে থাকবে গোটা যশোর।এ ব্যাপারে যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার জানিয়েছেন, নির্বাচনী এলাকা ও কেন্দ্রে পুলিশ সর্বোচ্চ নিরাপত্তামূলক বলয় তৈরি করেছে। এ কাজে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা কৌশল নেয়া হয়েছে। প্রশিক্ষিত ফোর্স নিয়োগ করা হয়েছে। যশোর পুলিশের কোনো সদস্য নির্বাচনী দায়িত্বের বাইরে থাকছেন না। তাদের লক্ষ্য একটাই, যাতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তারপরও যদি এ কাজে কোনো ব্যতয় ঘটে বা কেউ শান্তিতে ব্যাঘাত সৃষ্টির চেষ্টা চালায় তবে পুলিশ প্রশাসন কাউকে ছাড় দেবে না। তাৎক্ষণিক একশানে যাবে পুলিশ।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান জানিয়েছেন, নির্বাচনকে সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে জেলা প্রশাসন জিরো টলারেন্স ভূমিকায় থাকবে। কোনো অনিয়মকে প্রশ্রয় কিংবা কোনো নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তিনি আরও জানান, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আইনের পথে অবিচল থেকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার কঠোর নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। যেখানে অনিয়ম পরিলক্ষিত হবে, সেখানেই তৎক্ষণাৎ ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেলা নির্বাচন অফিসার হুমায়ুর কবীর। তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন রয়েছে।

বিশেষ প্রতিনিধি

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর