আমি ক্লাস ওয়ানে পড়ি। ৫/৬ দিন আগে শাহাজান ব্যাপারীর দোকানে গিয়েছিলাম। তখন কেউ দোকানে ছিলো না। শাহাজান আমার প্যান্ট খুলে ব্যথা দেয়। আমি কান্না ও চিৎকার করছিলাম। তখন লোকজন চলে আসায় শাহাজান আমাকে ছেড়ে দেয়। শার্শায় ৬ বছরের এক শিশু যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে সোমবার আদালতে এসব কথা বলেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শম্পা বসু ওই শিশুর জবানবন্দি গ্রহন করে একই সাথে আটক শাহাজানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আটক শাহাজান ব্যাপারী শার্শা উপজেলার বাগুড়ী গ্রামের মৃত আজিম উদ্দিন ব্যাপারীর ছেলে। এরআগে এ ঘটনায় ওই শিশুর মা গত ২১ মার্চ শার্শা থানায় শাহাজানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, গত ১৭ মার্চ দুপুরে তার শ্বশুর শিশু কন্যাকে শাহাজান ব্যাপারীর দোকানে বিড়ি কিনতে পাঠায়। শাহাজান তার মেয়েকে বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে কাছে টেনে নেয়। পরে আদর করতে থাকে। স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় ও ধর্ষণ চেষ্টা চালায়। পরে তার মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে এসে এসব কথা জানায়। মামলার পর পুলিশ ২২ মার্চ দোকানী শাহাজানকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করে। বিচারক ভিকটিমের জবানবন্দি গ্রহন করে পরিবারের জিম্মায় প্রদান করে ও আসামি শাহাজানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
রায়হান উদ্দীন







