Saturday, December 6, 2025

ক্রিকেটার কাজলের মৃত্যুকে হত্যা বলে চালানোর চেষ্টা ব্যর্থ মায়ের, অভিযোগের সত্যতা পায়নি পুলিশ

খুলনা জেলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ও খুলনা তরুণ একাডেমির কোচ কাজী রিয়াজুল ইসলাম কাজলের মায়ের অভিযোগের কোনো সত্যতা পায়নি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন যশোর। এ্যাজমায় আক্রান্ত কাজল সুচিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন এবং মৃত্যুর সাথে ব্যক্তিগতভাবে কেউই জড়িত নয় বলে পিবিআইএর  তদন্তে উঠে  এসেছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা  যশোর পিবিআইএর পুলিশ পরিদর্শক এ কেএম ফারুক হোসেন  আদালতে এ প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। এতে করে ভেস্তে গেছে কাজলের মায়ের সব পরিকল্পনা। এবার তিনি নতুন করে ষড়যন্ত্রে নেমেছেন। কাজলের শিশু কন্যা স্ত্রীকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছেন তিনি। কাজলের পৈত্রিক সম্পতি থেকে বঞ্চিত করতে একের পর এক ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন তিনি। শিশু কন্যা নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কাজলের স্ত্রী আফরিনা আক্তার সুমি।
মামলার তদন্তে পিবিআই আরো উল্লেখ করে, কাজল ও তার স্ত্রী সুমি এবং সুমির পরিবারের সাথে কাজলের মায়ের সম্পর্ক ভালো ছিলোনা। এক পর্যায় কাজল স্ত্রী নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করেন।  ২০২০ সালের ২৬ মে শশুর বাড়ি যশোর বারান্দীপাড়া এলাকার ফুলতলার গোলাম রসুলের ভাড়া বাড়িতে বেড়াতে আসেন কাজল ও তার স্ত্রী এবং শিশু কন্যা।   ২৭ মে রাত ১০ টায় কাজল অসুস্থ হয়ে পড়ে। ২৮ মে রাত ১২ টা ১৫ মিনিটে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে খুলনায় রেফার করা হয়। যাবার পথে যশোর কারাগারের সামনে পৌছালে তার মৃত্যু হয়। এরপর স্বজনরা আবার যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাজল আগে থেকেই এ্যাজমা আক্রান্ত ছিলেন। উন্নত চিকিৎসার অভাবে তার মৃত্যু হয়েছে। এ মৃত্যুর সাথে কেউই ব্যক্তিগত ভাবে জড়িত নয়। বিবাদীরা তাৎক্ষনিক কাজলকে চিকিৎসার জন্য সকল প্রকার চেষ্টা করেছিলো। বিষয়টি  কাজলের মা মেনে নিতে না পারায় আদালতে মামলা করেন।
এ বিষয়ে কাজলের স্ত্রী সুমি জানান, কাজলের মৃত্যুর পর তার শাশুড়ি সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। প্রথমে তিনি মামলা করেছেন। কয়েকদিনের ব্যবধানে কাজলের বাড়ি থেকে মেয়েসহ তাকে বের করে দিয়েছেন। বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে শাশুড়ি ও ননদ উষা তার ও কাজলের কন্যাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। শিশু মেয়েকে নিয়ে তিনি এখন আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলেও তিনি জানান।
এরআগে ২০২০ সালের ১৩ অক্টোবর কাজলের মা খুলনার খালিশপুর চরেরহাট এলাকার মৃত কাজী আব্দুল কাদেরের স্ত্রী রোকেয়া বেগম যশোর আদালতে মামলা করেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দীন হোসাইন অভিযোগটি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।  আসামিরা হলেন, নিহতের স্ত্রী যশোর শহরের বারান্দীপাড়া ফুলতলা এলাকার আমজাদ হোসেনের মেয়ে আফরিনা আক্তার সুমি, শ্বশুর আমজাদ হোসেন, শাশুড়ি মায়া বেগম, বারান্দীপাড়ার মজিদ ড্রাইভারের মেয়ে মণি বেগম ও খুলনা খালিশপুর হালদারপাড়া ১ নম্বর নেভি গেটের কানা সামসুরের ছেলে জাহিদুল ইসলাম সবুজ।
বিশেষ প্রতিনিধি

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর