চৌগাছা প্রতিনিধি: যশোরের চৌগাছায় সন্তানদের সঙ্গে অভিমান করে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে তিন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা গলায় ফাঁস দিয়ে ও বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। শুক্রবার দুপুর থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত ওই উপজেলার স্বর্পরাজপুর, বেলেমাঠ, হাজরাখানা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- বেলেমাঠ গ্রামের গোলাম মোস্তফা, স্বর্পরাজপুরের সাখাওয়াত উল্লাহর স্ত্রী মনোয়ারা, হাজরাখানা গ্রামের রতন মল্লিকের ছেলে লোকমান হোসেন।
জানা গেছে, গোলাম মোস্তফা চৌগাছা শহরে মুদি ব্যবসা করতেন। শহরের ন্যাশন্যাল ব্যাংকের শাখা ভবনের নিচতলায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে মান-অভিমানের কারণে শুক্রবার তিনি বিষপান করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসক গুরুতর অবস্থায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানেই রাতে তার মৃত্যু হয়। শনিবার আসরের নামাজের পর জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
স্বর্পরাজপুরের বাসিন্দারা জানান, মনোনয়ারার তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। সবারই বিয়ে হয়ে গেছে। তিনি ও তার স্বামী ছোট ছেলের সঙ্গে থাকতেন। সেখানে পারিবারিক বিষয় নিয়ে মনোমালিন্যের জেরে শুক্রবার বিকেলে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মনোয়ারা। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। রাতে সেখানেই তিনি মারা যান। শনিবার জোহরের নামাজের পর জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
আরো জানা গেছে, হাজারাখানা গ্রামের লোকমান হোসেন শনিবার দুপুরে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সন্তানদের সঙ্গে জমি বিক্রি নিয়ে বিবাদের জেরেই তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
তবে স্থানীয় ইউপি মেম্বার মনিরুজ্জামান মিলন জানান, লোকমান হোসেন হৃদরোগ ও মানসিক রোগে ভুগছিলেন। এর আগেও তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। শনিবার দুপুরে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন লোকমান। খবর পেয়ে বিকেলে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
চৌগাছা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম কিবরিয়া জানান, বৃদ্ধের আত্মহত্যার ঘটনায় হাজরাখানা গ্রামে পুলিশ পাঠিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।







