Saturday, December 6, 2025

কেশবপুরে তথ্য সংগ্রহকালে সাংবাদিকের ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন ছিনতাই

কেশবপুরে তথ্য সংগ্রহকালে সাংবাদিকের ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় ওই সাংবাদিক বাদী হয়ে কেশবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কপোতাক্ষ নদ সংলগ্ন কেশবপুর থানাধীন মেহেরপুর বিলের মধ্য হতে স্থানীয় ভূমিদস্যু রাশেদুলের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট অবৈধভাবে কৃষি জমির মাটি কেটে ভারী যানবহনে অন্যত্র বিক্রি করছে। এ ধরনের একটি সংবাদ পেয়ে চ্যানেল এস এর কেশবপুর প্রতিনিধি আক্তার হোসেন, জবস টিভির কেশবপুর প্রতিনিধি আব্দুল করিম ও দৈনিক আমাদের সময়ের কেশবপুর প্রতিনিধি এম.এ রহমান বুধবার তথ্য সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থলে যায় এবং মাটি কাটার স্থান ও মাটি বহনকরা ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তার ভিডিও ধারন এবং ছবি তুলতে থাকে। এ সময় স্থানীয় ভূমিদস্যু ও মাটি ব্যবসায়ী কেশবপুর উপজেলার মেহেরপুর গ্রামের উজির আলী গাজীর ছেলে আব্দুর রশিদসহ কতিপয় সন্ত্রাসী ভিডিও ধারণ ও ছবি তুলতে বাধাগ্রস্থসহ সাংবাদিকদের অশ্লীল ভাষায় গালি গালাজ করে। সাংবাদিকরা তাদের হুমকীর মুখে উক্ত স্থান ত্যাগ করে পাশ্ববর্তি গোবিন্দপুর হাইস্কুল মোড়ে অবস্থান নেয়। সাংবাদিকদের অবস্থান টের পেয়ে অবৈধভাবে মাটি ক্রয়-বিক্রয় সিন্ডিকেটের হোতা আব্দুর রশীদের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী গোবিন্দপুর হাইস্কুল মোড়ে সাংবাদিকদের অবরুদ্ধ করে রাস্তা ও মাটি কাটার ভিডিও ধারনের তথ্য প্রমাণ সম্বলিত ডিএসএল আর ৭০০ ডি মডেলের চ্যানেল এস এর ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।এ সিন্ডিকেটের প্রধান রশীদ হুমকী দিয়ে বলেন, যদি কোন চ্যানেল বা পত্রিকায় এই সংবাদ প্রকাশ হয় তাহলে সেই সাংবাদিককে জানে মেরে ফেলা হবে।এঘটনায় চ্যানেল এস এর কেশবপুর প্রতিনিধি উপজেলার কাস্তা গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে আক্তার হোসেন বাদী হয়ে ঐদিন বিকেলে আব্দুর রশীদের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৮/১০জনের বিরুদ্ধে কেশবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।এব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জসিম বলেন, ঘটনা শুনেছি এবং অভিযোগ পেয়েছি। ক্যামেরাসহ মাইক্রোফোন উদ্ধার ও আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

বিশেষ প্রতিনিধি

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর