Saturday, December 6, 2025

পুলিশের তাৎক্ষণিক অভিযান ॥ পালেরগোদা মনিরসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা, আটক ২

‘রাতের দড়াটানা জিম্মি মনির সিন্ডিকেটে’ শিরোনামে গ্রামের কাগজে সরেজমিন প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিভিন্ন মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার এ সংবাদটি টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়। একইসাথে সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ প্রশাসন। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়ে গভীর রাতেই পুলিশের একাধিক টিম দড়াটানা ভৈরব চত্বরে অভিযান চালিয়ে দু’জনকে আটক করে। তাদের কাছ থেকে চার হাজার টাকাও উদ্ধার করা হয়। কিন্তু মনির মেম্বর চলে যায় আত্মগোপনে। পরে আটক দু’জনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করে পুলিশ। আসামিদের মধ্যে সিন্ডিকেট প্রধান মনির মেম্বরকে পলাতক উল্লেখ করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার দিবাগত রাত ২টার পর থেকে পুলিশের একাধিক টিম দড়াটানা চত্বরে অভিযান চালায়। কখনো কোতোয়ালী থানা, কখনো পুরাতন কসবা ফাঁড়ি পুলিশ আবার কখনো সদর ফাঁড়ি পুলিশ সাকো বেকারির সামনে টহল দেয়। এসময় দড়াটানা চত্বর ফাঁকা হয়ে যায়। পুলিশি তৎপরতায় পালেরগোদা মনির আত্মগোপন করেন। রাত ৩টার পর দড়াটানা মোড়ে যে চায়ের দোকানে মনির সিন্ডিকেটের সদস্যদের আড্ডা হতো তার মালিক হাফিজুরসহ আরও কয়েকজনকে পুলিশ গাড়িতে করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ জানায়, অভিযানকালে সন্দেহভাজন কয়েকজনকে আটক করা হলেও তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
এদিকে, এ ঘটনায় পুরাতন কসবা ফাঁড়ির এটিএসআই সমাপ্ত কুমার বৈরাগী মনিরসহ পাঁচজনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় দু’জনকে আটক দেখানো হয়। তারা হলেন, মণিরামপুর উপজেলার গলদা গ্রামের মৃত ইয়ার আলীর ছেলে  মুন্না ও কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার গোপালগঞ্জ গ্রামের মৃত জমির উদ্দিন মন্ডলের ছেলে হাফিজুর রহমান। মামলার অন্য আসামিরা হলেন, খুলনার ফুলতলা উপজেলার হাফমাইল গ্রামের মনির হোসেন ওরফে মেম্বার মনির, সাতক্ষীরা জেলার মাহাবুবুর ওরফে মাওলা ও অজ্ঞাত ঠিকানার মিজান। এ মামলায় অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকেও আসামি করা হয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, সোমবার দিবাগত রাত ৩টা ৪৫ মিনিটে পুলিশ জানতে পারে দড়াটানা সাকো বেকারির সামনে একটি সংঘবদ্ধ চক্র দূরপাল্লার বাসের যাত্রীদের কাছ থেকে টিকিটের নামে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। খবর পেয়ে এসআই শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে ওই দু’জনকে নগদ টাকাসহ হাতেনাতে আটক করেন। মুন্নার কাছ থেকে সাড়ে তিন হাজার ও হাফিজুরের কাছ থেকে পাঁচশ’ টাকা উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, গ্রামের কাগজে প্রকাশিত সংবাদকে তারা গুরুত্বের সাথেই নিয়েছেন। ফলে তাৎক্ষণিক অভিযানও চালিয়েছেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মনির মেম্বরসহ কয়েকজন পালিয়ে গেলেও তাদেরকে আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে আটক হওয়া দোকানি হাফিজুরের দাবি, তিনি রাতে ভ্রাম্যমাণ চায়ের দোকান দিয়ে নৈশকালীন যাত্রীদের সেবা দেন। টিকিট চাঁদাবাজির সাথে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। যাত্রী এবং পুলিশ-সবাই তার দোকানের কাস্টমার।
সুত্রঃ দৈনিক গ্রামেরকাগজ
আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর