শত কর্মব্যস্ততা থেকে নিজেদের কিছুটা প্রশান্তি দিতে এবং প্রকৃতির সাথে নিজেদের অবগাহন করাতে যশোরের কাঠেরপুল যুব সংঘ প্রতি বছরের ন্যায় এবারো আনন্দ ভ্রমণ করেছে। বুধবার শহরের জেলরোডের অস্থায়ী কার্যালয়ের(এন এস ট্রেড) সামনে থেকে সকাল ৯ টায় ভ্রমণ শুরু হয়ে রাত ১১ টায় একই স্থানে এসে শেষ হয়। আনন্দ ভ্রমণে সংগঠনের সদস্যরা নিজে আবার কেউ কেউ তাঁদের পরিবার নিয়ে অংশ নেন। বহর নিয়ে এবার সাতক্ষীরার মন্টু মিয়ার বাগানবাড়ি থেকে তারা ভ্রমণ করে আসেন। তবে এবারের ভ্রমণের চিত্র ছিলো ভিন্ন। বিশেষ আকর্ষণ ছিলো সাংস্কৃতিক
অনুষ্ঠান। সাথে ছিলো ছেলে, মেয়ে ও বাঁচ্চাদের খেলাধুলা, র্যাফেল ড্র এবং পুরস্কার বিতরণের অনুষ্ঠান। জমকালো অনুষ্ঠানে দক্ষিন বঙ্গের সুনামধন্য শিল্পিরা অংশ নেন। সদ্য প্রয়াত ব্যান্ড তারকা নজরুল গুরুকে স্মরণ করে প্রথমে গান শুরু করেন কন্ঠশিল্পি রতন। এরপর স্টেজে উঠেন কাবলি শাহীন। ‘‘বাবা তোমার দরবারে সব পাগলের মেলা’’ গানের শুর ধরতেই উত্তাল হয়ে উঠে পুরো এলাকা। সুর,তাল আর লয়ের সমাহারে মনের অজান্তে কেউ কেউ স্টেজে উঠে নাচ শুরু করেন। উপস্থিতিদের করতালিতে মুখর হয়ে উঠে পুরো অঙ্গন । এসময় কে ছোট আর কে বড় তা বুঝার অবকাশ তখন কারো ছিলো না। এ যেন, পাগলের মেলা বসে
বাগান বাড়িতে। একের পর এক পরিবেশনায় মন্টু মিয়ার বাগানবাড়ী হয়ে উঠে এক টুকরো সুরের উদ্যান। কাঠেরপুল যুব সংঘের পুরো আয়োজন দেখে সাধারণ দর্শনার্থী সহ মন্টুমিয়ার বাগানবাড়ীর কর্মকর্তা-কর্মচারীরও মুগ্ধ হন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে গান পরিবেশন করেন রিজিয়া বেগম, শাকিল জাকারিয়া, মুন্নী, ইলমা, রুমানা, আলেক, মানিক, শফিকুল ইসলাম । নাচ পরিবেশন করেন রিকি খান, নদী রহমান ও শিশু শিল্পি সাফিন মুবিন। এছাড়া মিউজিশিয়ানদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গিটারিষ্ট মাসুদ, কি বোডিষ্ট অমেলেন্দু গোলদার ও প্যাডিষ্ট আকাশ।সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার ছিলো রাতদিন নিউজ।সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রুমানা রহমান। এছাড়া র্যাফেল ড্র’তে ১ম পুরুস্কার ১টি মোবাইল ফোন ,২য় পুরস্কার
সাউন্ডবক্স, ৩য় পুরস্কার একটি টেবিল ল্যাম্প সহ ১০টি পুরস্কার দেওয়া হয়। এবিষয়ে সংগঠনের পরিচালক শিমুল ভূইয়া জানান, কাঠেরপুল যুব সংঘ একটি সামাজিক সংগঠন। সামাজিক কাজের সাথে প্রতিবছরই তারা এ ধরণের ভ্রমণের আয়োজন করে। করোনার কারণে গত বছর ভ্রমণ করা হয়নি। এছাড়া দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থেকে কাঠেরপুল যুব সংঘের সদস্য ও তাদের পরিবারকে একটু বাড়তি বিনোদন দিতেই তাদের এবার ব্যতিক্রমী আয়োজন। তিনি আরো বলেন, গত বছর তারা সংগঠনের অন্যতম উপদেষ্টা সাইদুর রহমান পিল্টুকে হারিয়েছেন। তার অকাল মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে এবারের আনন্দ ভ্রমণ পিল্টুর স্মরণে উৎসর্গ করা হয়েছে। এছাড়া এবারের আয়োজনে যারা অংশ নিয়েছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানান এবং যারা অংশ না নিয়েও অনুষ্ঠান সফল করার লক্ষে দূর থেকে নানা ধরণের সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মি.শিমুল।
বিশেষ প্রতিনিধি







