ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে সাতজনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
নিহতদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান কল্লোল নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের একজন সিপাই রয়েছেন। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলার ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নের সুন্দরপুর গ্রামের ইছাহাক মণ্ডলের ছেলে। যশোর থেকে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন কল্লোল।
নিহত অন্যরা হলেন- কালীগঞ্জ উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের রনজিত দাসের ছেলে সনাতন দাশ, শৈলকুপা উপজেলার বগুড়া গ্রামের মহরম বিশ্বাসের ছেলে আব্দুল আজিজ, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নাথকুণ্ডু গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে ইউনুস আলী, কোটচাঁদপুর উপজেলার হরিন্দিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে হারুনর রশিদ সোহাগ, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে রেশমা, আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ গ্রামের জান্নাতুল বিশ্বাসের ছেলে ওয়ালিউল আলম শুভ ও গাড়িচালক উজ্জ্বল হোসেন। তার বাড়ি মাগুরায় বলে জানা গেছে।
বুধবার বিকেলে যশোর-ঝিনাইদহ সড়কের বারোবাজার এলাকায় আমজাদ আলী ফিলিং স্টেশনের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন কমপক্ষে ৩৫ জন। আহতদের যশোর ও ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া লাশগুলো কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। পরিচয় পাওয়া সাতজনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বারোবাজার হাইওয়ে থানার ওসি শামসুর রহমান জানান, বিকেল ৩টার দিকে জেকে পরিবহনের একটি বাস যাত্রী নিয়ে যশোর থেকে ঝিনাইদহের দিকে যাচ্ছিল। বাসটি বারোবাজার পার হয়ে আমজাদ আলী ফিলিং স্টেশনের সামনে পৌঁছালে রাস্তার ওপর থাকা যাত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে ব্রেক করে। এতে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ওপর উল্টে পড়ে। এ সময় বিপরীত থেকে আসা একটি ট্রাক বাসটিকে ধাক্কা দেয়। এতে বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই নয়জন নিহত হন।







